রাজলক্ষ্মী - শ্রীকান্তে শরৎ বাবুর  কি অপূর্ব সৃজন,
পেয়ারীই বা কম কি?
অসাধারণ দূর্বলতায় আমাকে আকৃষ্ট করে ফুটন্ত সরিষা ফুলে যেমন মৌমাছি।
রজনীর কাছে লেখা প্রথম পত্রে ওকে পেয়ারী নামেই সম্বোধন করি ;
ঘোরতর আপত্তি রেখে পত্রের উত্তর আমাকে আশাহত করে ও,
ঐ নামে আরো কেউ আছে বলে ওর একদম অপছন্দ।
মেয়েরা যে নামের বিষয়ে এত স্বার্থপর বুঝতে পারিনি আগে।
স্নিগ্ধ বিকেলের পরন্ত রোদে পত্রখানি পাঠান্তে আনমনা ভাছিলাম
নতুন কোন নামের অনুসন্ধান করছি আর কি ;
একদৃষ্টে চেয়ে আছি পুষ্পিত মাধবীলতার দিকে,
দারুণ ভাবে জড়িয়ে আছে সদর দরজার মাচালে
রজনীও যদি এমনি করে আমাকে রাখতো!
তারপর আর ভুল হয়নি
ওর নামটিও মাধবী রেখে দিলাম,
আর আপত্তি তোলেনি কখনো।
সত্যি আমার হৃদয়ের সাথে একাকার হয়ে হয়ে মিশে গেল
মাধবীলতার মতই।
এমনি করেই চলছিলাম প্যারালাল বিরামহীন অনেটি বছর।
কখনো মনে হয়নি ওর আর আমার মাঝে কোন দেয়াল আছে।
খুব বেশি দেরি নেই,  মাস তিনেক পরেই আমার বুকে হবে ওর পাকাপোক্ত আসন,
চাকুরীর মাত্র মাস ছয়েক  পেরলো,
অগ্রহায়ণ আসতে কতইবা বাকি ;
তবু অপেক্ষার প্রহর বুঝি শেষ হতে চায়না।
চাতকের মত চেয়ে থাকি অহর্নীশি।
...
আশ্বিনের শেষে হঠাৎ আকাশে ঘন কালো মেঘ,
অসময়ে উঠলো দারুণ ঝড়
সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় একটি সংবাদে
যা কখনো প্রত্যাশা করিনি
এমনটি হবার কোন কারনও খুঁজে পাইনি।
নিঃষ্কণ্টক মাধবীলতায় কাঁটা থাকে অনেক কাছে থেকেও বুঝিনি-
একদম বুঝিনি।
রজনী - রজনীই রয়ে গেল
রজনী কেটে ভোরের সূর্য উঠবেনা জানি আর কোন দিন কোন কালে।


       ****