পরিত্যাক্ত ঘরে আর কোন রমনী
সন্ধ্যার দ্বীপ জ্বালাতে আসবেনা,
ঝির ঝিরে বাতাসের বুকে আর
রেশমী চুলের সুবাসে ভরে উঠবেনা।
এখন উঠানের বুক সবুজ ঘাসে আবৃত,
অনাবৃত বাসনাগুলি আর এ মাটিকে স্পর্শ করেনা,
করবেওনা কোনদিন ;
কালের গর্ভে তলিয়ে যাবে-
একরাশ অশ্রু নিঃসিক্ত ইতিহাসকে বুকে টেনে।
এখন সেখানে শুধু  ঝিঁঝিঁর সকরুণ চিৎকার-
আর ধূসর সন্ধ্যার বিবর্ণ ছায়া,
আরশোলা আর তেলাপোকার স্বরাজ ভূমি,
মাটির ভীতর বিষাক্ত ভূজঙ্গের নৃশংস সঞ্চারণ
জীবনবোধের একটি সুস্পষ্ট ব্যর্থ পরিনতি।
পৃথিবীর রূপ যেন বিবর্ণ অবিকশিত-
কীট দংশিত কুসুম কলিকা;
জীবনটা যেন অকাল মৃত ঝরা পাতা।
বৃক্ষের মত জ্যোৎসনার স্নিগ্ধ আলো
হিজি-বিজি হয়ে মাটিতে আছড়ে পরে-
যেন এক পরাজিত ক্লান্ত আশাহত সৈনিক,
রক্ত ঝরানো স্বাধীনতার মূল্য দিতে গিয়ে
ছিটকে পড়া এক নাবিক,
চারিদিকে অশান্ত সাগরের দুরন্ত গর্জণ।
।।
রংচটা ঘরের বন্দি এক প্রাণী ছাড়া আর কিছুই নেই
আর আমি তার নিত্য সহচর।
দেযালের ছবিগুলি উল্টে গেছে নির্মম ইতিহাসের মতই,
এইতো জীবন- বহতা নদীর মত,
পরিত্যাক্ত ঘরে আবার যদি আলো জ্বালি
সেই প্রত্যাশা নিয়েই টিকে আছি।
         ****