শরতের কাশবনে ফুটেছে শুভ্র ফুল কী চমৎকার!
মণ্ডবে মণ্ডবে বাজিছে ঢাক মেতে আছে ভক্তকূল আনমনে;
চলোনা অনন্য আজি পরন্ত বিকেলে হারিয়ে যাই।
কাশফুল তুলে তোমার খোঁপায় গুজে দিব যত তুমি চাও,
দু'জন দেখবো ধীবরের নায়ে রূপালী পোয়াতি ইলিশ।
শুকনো বালুর চরায় তুমি আর আমি নগ্ন পায়ে হাঁটবো অবিরম,
আঙ্গুল কলম বানিয়ে বালির উপর লিখে রাখবো নাম।
চাতক পাখির উড়াউড়ি, শেষ খেয়ায় পার হওয়া নৌকায় খানির যাত্রী
সব দেখবো অবলিলায়,
তারপর ক্লান্ত হলে আমার কোলে মাথা রেখে একটু না হয় একটু বিশ্রাম করে নিও-
দেখেনিও আকাশ পানে চেয়ে ঝাঁক বেঁধে বিহঙ্গের ঘরে ফেরা,
সন্ধ্যায় শাঁখ বাজলে, মসজিদে আজান হলে ফেরার আয়োজন করবো।
হয়তো ইচ্চে করবেনা
নয়তো তুমি বলবে,-  এসোনা আর একটু সময় থাকি।
শিয়ালের ডাকা ডাকিতে আমার বুকে মুখ লুকিয়ে ধরবে শক্ত করে,
হুম, তারপর আর নয়,
ক্লান্ত দেহে বালিপথ মাড়িয়ে ফিরে আসবো।
যাবে অনন্যা?
আর না হয় নাইবা গেলে,
এই শারদে এই মোর চাওয়া।
         ***