মুখখানি দেখেছি তোমার অপলক চেয়ে
হরিণীর মত এক স্নিগ্ধ মায়াময়,
শরীরের আরশিতে যেনো আমারই প্রতিচ্ছায়া ভাসিছে অবিরল,
কর্ণে শোভিত ঝুমকা জোড়া সেতো বৃটিশ রাণীর মুকুটের মনিহার,
গলে পুথিমালা ঠিক নবমীর দূর্গাদেবির মতউজ্জ্বল ঝলমল।
গোলাপী ওষ্ঠ কোমল পেলবতায় রসসিক্ত,
নিটোট মুক্তঝরা হাসিতো হাসি নয় অনন্যা -
ভরা পূর্ণীমার উজ্জ্বল শশী।
মূখায়বে ডানদিকের তিলদু'টি সৌন্দর্যকে করেছে অনন্য।।
কে সৃজিলেন তোমারে, কোন সে কারিগর ভাবি অহর্নিশি,
এলাচির গন্ধ ভাসে তোমার শরীরের ঘামে-
স্পষ্ট ভেসে আসে আমারই নাসারন্ধ্রে -
মক্ষিকার মত ছুটে যেতে ইচ্ছে করে,
সন্দেহ জাগে লজ্জাবতীর মত কুঁকড়ে যাবে নাতো?
নাকি পাপড়িগুলো ঝরে যাবে বাসি  গোলােপের মত অকাতরে!
তবু স্পর্শের সাধ জাগে ছুঁয়ে দিতে,
বড় সাধ জাগে অনন্যা।
          ***