জীবনের স্বর্ণালী প্রভাতে দেখেছি
সেই কবে, কতদিন আগে,
স্মৃতির ফলকে লেখা আছে শুধু ,
ভালবাসাগুলি তখনো বাঁধেনি দানা,
শান্ত পায়রা গুলি বসিত উঠানের ঘাসে
খাদ্যের সামান্য প্রত্যাশা নিয়ে।
প্রাণ ভরে তোমাকে দেখেছি
পাতা ঝরা হিজিবিজি আমড়া বনের আড়ালে,
দ্বাদশীর চন্দ্র তখন চেয়ে থাকে মাটির বুকে।
ধানের গন্ধে ভরে উঠে বাতাসের বুক
নটবর মাঝি চেপে ধরে হাল ,
জীর্ণ পালে দমকা বাতাস ।
বিবর্ণ পাতাগুলি ঝরে পরে শুধু মাটির পর।
শ্রাবণের বর্ষণক্লান্ত আবছা অন্ধকারে
শুধু মনে পরে এক জোড়া সতৃঞ্ষ
স্পর্শ কাতর গভীর আঁখি।
।।
তিরিশটি বছর কেটে গেছে একই শয্যাতে
মিলন বিরহ সংকটে ,
বেদনার নীল স্রোতে এখন আমার বাস,
স্বপ্নের সিঁড়িগুলি ভেঙ্গে গেছে কবে,
দুঃস্বপ্নের কঠিন আঘাতে।
তবু তার মাঝে মনে হয়
প্রাণ ভরে আবার তোমাকে দেখি,
শ্রাবণ বিকেলের বৃষ্টিতে ভেজা
হালাকা মেরুণ শাড়ির ভাঁজে ।
।।
তোমাকে দেখেছি তাই মনে হয়
পৃথিবীর সব রূপ হয়েছে নিঃশেষ।
এ হৃদয়ের স্বপ্ন যেন মরে গেছে কবে,
ধূসর সন্ধার ক্ষীন দীপালোকে
মনে হয় আবার তোমাকে দেখি,
বটতলা বৈশাখি মেলায় বাঁশি হাতে,
সেই মেয়েটির টানা দু'টি চোখ।
মনে হয় জীবনের অজস্র ভীরে
একেই খুঁজেছি আমি -
অবারিত এই সবুজ প্রান্তরে।
         ***