প্রতিমা বিসর্জন চেয়ে চেয়ে দেখলাম গতকাল স্নিগ্ধ বিকেলে,
দাউদকান্দি ঘাটে বিস্তর ভক্তের মূখরিত কলরোলে,
আবিরে রাঙা মূখায়ব, জয় দূ্র্গামা, জয় দূর্গামা ধ্বনিতে মূখরিত,
বিদায়ী ঢাকের নান্দনিক বাজনায় হৃদয় কম্পিত হয়।
অনন্যাও নিশ্চয়ই সিঁদুর আবিরে রাঙিয়েছে মুখ
দেবীর চরণে দিয়েছে অর্ঘ পরম ভক্তিতে,
দাউদকান্দির ঘাটের পাড়ে দাঁড়িয়ে অপলক দেখছিলাম-
ভক্তের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস ;
শত শত মণ্ডবের প্রতিমার দিকে  চেয়ে দেখি,
আর খুঁজেছি একটি চিরচেনা মুখ,
যা কখনো ভুলে যাবার নয় ;
হাজার নিরিক্ষণেও মেলাতে পারিনা তার হিসাব,
তুলনাহীন মূরতির কী তুলনা চলে?
সেতো দেবী অন্নপূর্ণা!
যার নয়ন তারায় মায়াবী পলক,
বঙ্কিম উন্নত নাসিকা, সুঢোল বক্ষদেশ,
নিটোট মুখায়বে মুক্তঝরা মৃদু হাসির স্নিগ্ধ পরস,
মেদহীন দেহখানীর ছন্দময় গতিময়তা।


এত দেবী মূরতি গড়েছে কুমোর-
অনন্যার মত কই!
সেতো মানস প্রতিমা মম ,
তুলনাহীন যারে গড়িলেন স্রষ্টা  অপার সৌন্দর্যে-
আর কেউ নয়-
সেইতো মানবী দেবী অনন্যা।
           ***
রচনাঃ ০৬.১০.২০২২
            কচুয়া, চাঁদপুর।