গহীন গহন ঘিরে ঘন তমসা
বনমাঝে পথচলি নাহি ভরসা
একেলা এ নিরালায়
মনে জাগে সদা ভয়
ঘনঘোর তমসায় এ মহানিশা-
চলিতে চলিতে দেখি আলো তরসা ।


এ বিশাল বনমাঝে আমি একেলা
চারিদিকে জানোয়ার করিছে খেলা
গোটাবন দেখি ঢাকা
গহিন আঁধারে মাখা
আকাশও মেঘে ঢাকা
নিশিথ বেলা-
কোনখানে নাই কেহ আমি একেলা ।


আলো হাতে তম: রাতে কে আসে ওরে !
দেখাবে কি বনমাঝে পথ আমারে ?
জ্বলে পূণ: নিভে যায়
আমা পানে নাহি চায়
আমি হেথা নিরুপায়
থাকি আঁধারে-
দেখাবে কি বনমাঝে পথ আমারে ?


ওরে তুমি কোথা যাও কোনখানেতে ?
বারেক জ্বলাও আলো আমা তরেতে
আমার যা কিছু আছে
দেব সবে তোমা কাছে
তুমি শুধু জ্বালো আলে
আমা তরেতে-
আমার একেলা হেন আঁধার পথে ।।


এ বনপথে যত চলি তত হেরি
আঁধারে আঁধারে বন গিয়াছে ভরি
এ তমসাবৃতা বনে
নাহি কেহ আমা সনে
চলি পথ নিরজনে
তোমারে স্মরি
আমারে দেখাও পথ মিনতি করি ।


আলো নয় আলো নয় ক্ষীণ সে আলো
নিভিয়া ত্বরা পূন: আঁধারে ঢাকিল
নিশিথ গহন ঘিরে
ঘিরিল আঁধার ওরে
শুননো গহন মাঝি
নাই যে আলা-
জ্বলে আর নিভে সে আলেয়ার আলো ।।


বি: দ্র: ‘আলেয়ার আলো’ কবিতাটি রবী ঠাকুরের বিখ্যাত ‘সোনার তরী’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত । তারিখ: ১০.০৫.২০০৭