পানকৌড়ি হয়ে ভেজা গায়ে উড়ে যাই জলের খুব কাছ দিয়ে।
জলপিপিদের ঘুম ভাঙিয়ে বসি আধোডোবা নৌকার গোলুইয়ে।
আমার ডানা থেকে টুপ টুপ করে খসে পড়ে ফোটা ফোটা জল।
শীতল জলে ভাপ ওড়া কুয়াশায় বসে কাটাই বিষন্ন সকাল।
আমি প্রতীক্ষায় থাকি একটি গ্রাম্য বধূর, মাটির কলস নিয়ে,
সে আসে খুব ভোরে, লজ্জা জড়ানো পা টিপে টিপে।
বাসি ফুল ছড়িয়ে দেয় জলে, কপালে মেখে থাকা সিঁদুর ধোয়, ঠাণ্ডা জলে হাত ডুবিয়ে কতক্ষণ হাতের মেহেদি দেখে।
পরিষ্কার জলে নিজের ছায়া দেখে আবার নিজেই ঢেউ তুুলে ছায়া ভাঙে।
ডুব দিয়ে সাতরে এসে আমার খুব কাছ থেকে একটি কচুড়ি ফুল তোলে।
মাটির কলসিটি কাঁধে রেখে ভেজা আচঁল ঝুলিয়ে, কোমর বাঁকিয়ে, আমার হৃদয় পথ ধরে ধবধবে পা ফেলে সোজা চলে যায়।
ভেজা পায়ের ছাপ ফেলে কোথা যায়, জানিনা কোন গৃহে এমন প্রভাত বিহঙ্গীটি ফেরে।
এই আধোডোবা নৌকাটিতে বসে থাকি; প্রতিদিন একটি দৃশ্যই দেখি,  দৃশ্যটি আমার কাছে পুরোনো হয়না।