এক বিকেলে, হলদে রোদে
ভরা ভাদ্রের খোলা আকাশে
ছিল না কোন মেঘ, ছিল
না বৃষ্টি, তবুও আমরা ভিজে
গিয়েছিলাম, রৌদ্রের বৃষ্টিতে,
কেমন যে মায়া লাগানো
বিকেল; কচি ধানের ঘ্র্যাণ,
স্যাতস্যাতে রাস্তার অবিরাম
দূরত্ব, তবুও আমাদের খুব
ভালো লেগেছিল। ভরা বংশীর
পাড়! এসময় বংশী ভীষণ
মায়াবী, জলের উপরে ভাঙ্গা
ভাঙ্গা ঢেউয়ের ভাজে হলদে
রোদের লুকোচুরি খেলা,
আমাদের খুব ভালো লেগেছিল।
একবার ভেবেছিলাম নদীর পাড়ে
আস্ত একটা বাড়ী করে ফেলবো;
খড়কুড়োর ঘর আর জীবিকার
জন্য হয়ে যাবো আধ-খাওয়া,
আধ-মরা কৃষক; না খেয়ে
মরবো তবুও প্রেম থাকবে;
গরীবের ঘরে নাকি প্রেম থাকে,
খুব প্রেম! সদা নদীর সাথে প্রেম
হবে, নারীর সাথে প্রেম হবে।
সেই একটি বিকেলেই ছিল,দারিদ্রের,
প্রেমের, নারীর, নদীর আর ভালো
লাগার; তারপর নেমে এলো
সন্ধ্যা-রক্তাত্ত্ব আকাশের বুক
ধীরে ধীরে ঢেকে গেলো অন্ধকারে।
তুমিও চলে গেলে, অনেকদূর তোমর
চলে যাওয়া দেখে আমিও পথ ধরলাম;
শুরু হলো ভরা ভাদ্রের বর্ষণ।
অন্ধকারে বৃষ্টি মাথায় সিগারেটে
টান দিয়ে চলা যুবকের মনে হলো
নদী আর নারী সবাইকে আপন করে
না, কেবল ক্ষণিক বিনোদিত করে।