কৌতুক করে যৌতুক নিয়ে তুমি আছো ভাই সুখে,
শ্বশুড় বাবার দেখা নাই আছে বুঝি দুখে।
যৌতুকের দেনা পাওনার দর-কষাকষি,
কত মেয়ে অকালে গলায় দিয়েছে ফাঁসি।


যৌতুকের কারণে হয়েছে কত মায়ের কোল খালি,
তারই মাশুল গুণতে গিয়ে জীবন দিয়েছে জলাঞ্জলি।
যৌতুকের কারণে সমাজ ও জাতি গেল রসাতলে,
নারী সমাজ কেন পরেছে ধ্বংসের কবলে?


সমাজে যৌতুক ধীরে ধীরে পরিণত হলো প্রথাচারে,
এর কারণে কত নারীর দিন কাটে অত্যাচারে।
যৌতুকের কারণে কত নারীর ভেঙেছে বিয়ে,
তার প্রমাণ পাবে গরীব অসহায় মানুষের ঘরে গিয়ে।


যৌতুকের অভিশাপে ছেয়ে গেল কত নারীর জীবন,
মা-জননীরা কাঁদবে কি এই ভবে আজীবন।
যৌতুক প্রথা বহুদিন আগে থেকেই আছে প্রচলিত,
এই প্রথা সমাজ থেকে করতে হবে মোদের রহিত ।


এই সমাজে যৌতুক দেওয়া নেওয়া সমান অপরাধ,
নিবোনা কোন যৌতুক,নতুন করে গড়বো না কৌতুক।
চারদিকে নারী আন্দোলনের ডাক ছড়িয়ে দিতে হবে,
রমণীরা লেখাপড়া শিখে নিজেদের প্রতিবাদী গড়বে ।


সমাজের দিকে দিকে উড়ছে আজ প্রগতির নিশান,
নারীরাই এক দিন করবে যৌতুক প্রথার অবসান।
শক্ত হস্তে কোমল কন্ঠে তোমরাও জেগে ওঠো হে নারী,
চলো আমরা যৌতুকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি।