একই গাঁয়ের তিনটি বন্ধু ছিল খুবই ভালো,
স্কুল থেকেই তাদের মাঝে বন্ধুত্ব হলো।
এক পাড়াতে থাকতো তারা এক স্কুলে পড়তো,
শ্রেনী কক্ষে সবসময় পাশাপাশি বসতো।


তাদের মনে ছিল খুবই পারস্পারিকতা,
একজনকে ভুলে থাকা_ সে দূরের কথা।
দুইটি ছিল ছেলে আর একটি ছিল মেয়ে,
বন্ধুত্ব্যের কম ছিলনা কেউ কারো চেয়ে।


যত ব্যস্ত থাকুন তারা অপরাহ্নে বেলায়,
প্রতিদিনই করতো দেখা একই ঠিকানায়।
এক সাথে করতো খেলা একসাথে চলতো,
একদিন না আসলে তার বাড়ী চলে যাইতো।


ছেলে দুইটি বন্ধুত্ব আর ভালবাসার টানে;
প্রতিক্ষণে খবর লইতো আছো কোনখানে।
এভাবেই চলিয়া গেল প্রায় দশটি বছর,
হঠাৎ করে সাথীর আজ নেই কোন খবর।


সাথীর খোঁজে ছুটে গেল দেখতে তার বাড়ী,
দেখলো সেথায় আঙ্গিনাতে মানুষ সারি সারি।
কম্পিত কণ্ঠে কহিল জনের 'কি হইয়াছে হায়,
এত কৌতুহল হচ্ছে কেন বাড়ীর আঙ্গিনায়।


হাসিয়া হাসিয়া কহিল লোকে সাথীর আজ বিয়া,
জামাই আসিয়া বসিয়া রহিছে যাইবে তারে নিয়া।
শুনিয়া তারা দৌড়াইয়া গেল সাথীর জননীর কাছে,
বাল্য কালে বিবাহ দেয়া কোন আইনে আছে?


জননী তাহারে মধুর সুরে কহিল বুঝিয়া,
ঘর বর সবই ভালো তাই'ত দিব বিয়া।
এমন সুযোগ কেমন করে করিব হাত ছাড়া?
মুন্সি এলেই বিয়ের কাজটা করে দেব সাড়া।


বন্ধু দুটি সাথীরে দেখিতে ব্যকুল হইয়া পড়ে,
সাথী আজ কেঁদেই মরে দড়জা বন্ধ ঘরে।
কত জনে দেখে তবু কয় না কোন কথা,
প্রতিবাদী নেই'ত কেহ, নেই'ত মাথাব্যথা।


এমন ভাবেই বাল্যবিবাহ হচ্ছে অহরহ;
স্বাধীনতা পাচ্ছেনা তো সাথীর মত কেহ।