যুগে যুগে যতবার ধরিত্রী দ্বিধা হলো
সেতো আমারই আব্রু বাঁচাতে
আমার অভিমানে দেবে গেল সুউচ্চ পর্বত!
তোমার আসুরিক রূপ
আর কত?
আর কত বার ছিঁড়ে যাবে আঁচলের আঁচল?
কতবার পুড়ে যাবে ধূপছায়া পাটের শাড়ি?
আমি নারী
এই বুঝি অপরাধ?


তোমায় ভজতে গিয়ে আমার কূল গেছে....
কুলের কাঁটায় জড়িয়ে গেছে
নোটন খোপার ফুল।
কামিনী নাম নিয়ে জন্ম নেয়া এক জীবনে
মস্ত বড় ভুল!


আমায় তুমি নাম দিয়েছ ভারি!
রক্ত, মাংস, তেজ;
শুষে খেয়ে জীবনীশক্তি
    যেই না বোল ফুটেছে
           বল খাটিয়ে নাম দিলে অবলা!


তুমি আমায় নাম দিলে রামা,
যেন জগতের সব রূপের ভার
বইবার দায় নিয়ে
জগতে এসেছি!
যেন আজন্ম-বেশ্যা করে চলেছে
রূপের বিকিকিনি।


তুমি নাম দিলে রমনী
রমনের স্বাদে লকলকে জিহবা সংযত করো।
তোমার রিরংসা পুড়িয়ে দেব
চোখে আমি সূর্য পুষেছি।


বারবার তুমি আমায় অঙ্গনা ডাকো
বোতল থেকে বিলবোর্ড
সবেতেই আঁকছো আমার দেহ!
বলতে পারো তোমার রাক্ষুসে
পাকস্থলীতে ঠিক কত খিদে
গুদামজাত করেছ?


ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে, কী যেন ডাকো আমায়....
মহিলা।
মহলের অন্দরে বসত করি বলে।
তা বলো দেখি
কোন অলক্ষুনে তিথিতে তোমায় দাসখত লিখে দিয়েছিলাম অসূর্যম্পশ্যা হবার?


প্রিয় পুরুষ,
অনুগ্রহ করো।
জিহবাটা পবিত্র জলে বারেক ধুয়ে নাও।
আমায় মানুষ ডাকো।
নইলে আজীবন শুধুই পুরুষ
আমার চোখে তুমি মানুষ হবে না।