সিগারেট কিনে খায়না কখনো,
তবু মেয়েটা নিকোটিন ভালোবাসে।
তোমার ঠোঁটের বেনসন পোড়া দাগ
তার কাজল কাজল লাগে।


যেতে দাও তাকে মেরুপ্রভা ছুঁতে,
বন্ধুর মতো জড়িয়ে ধরো
কান্নার ক্ষণে,
স্বান্তনা দাও, পাশে থাকো,
ভুলেও হাত দিওনা আবৃত উরুতে।


প্রবাল প্রাচীরে মন পড়ে আছে,
ওড়নার আঁচলে কী ভীষণ তপ্ত সাইমুম।
তাকে ছেড়ে দাও তার মতো,
ঘুমেরও মাঝে মাঝে পায় খুব ঘুম।


তেজী তুরগের পেশির নাচন
ধমনীতে টগবগ,
দামিনীর তেজে তার মন সওয়ার
একটা খাপ খোলা জুলফিকার
আর টান টান মুঠোতে উৎক্ষিপ্ত রগ!


কস্তুরি হরিণ শিকারে মত্ত নারী,
চিতার সাথে সখ্য যার,
সে এসেছে একমুঠো কাশফুল পেতে।
তোমার কাছে জানো,
অতটুকুই চাওয়া তার........


হঠাৎ সে কোনদিন চলে যাবে
আমাজন নির্জনে,
পা পড়েনি আজো এমন অন্ধকারে,
কানের পাশে র‍্যাটল স্নেকের আওয়াজ
যার নিত্য দিনের অভিধানে।


এক ঝাপি ফুল
কিছু বেলী, সন্ধ্যামালতী
কিছুটা বকুল;
কুড়োতে এসেছে সে ভেজা পায়ে।
এক মাথা জ্বরের প্রকোপ আর
চিনচিনে বুক-ব্যথা নিয়ে।
জন্ম তার ঘন অর্কিড বনে
মেঘের নায়ে সে চলে যাবে
উল্কার অভিমানে।


ওয়াইন ছুঁয়ে দেখেনি কখনো,
তবু আঙুরের বাগ ভারে উথাল-পাতাল;
এক বুক নেশা জাগে!
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে অজানা সাগর ঢেউ
তার বড্ড মাতাল লাগে।


তাকে যেতে দাও মেরু-মরু সব ছাড়িয়ে,
গালে তার অরোরার আভা।
ছুঁয়োনা শরীর তার ভালো না বেসে,
পুড়িয়ে দেবে সব গনগনে লাভা।