বুকের বা পাশ
তোমার জন্য রেখেছি কিছু রক্ত পলাশ।
রেখেছি শিশির কণা
আর কুমারী দূর্বাঘাস........।


এসো, পা মাড়িয়ে যাও,
ভেঙে দাও রাতুল দোপাটি মন।
যখন তখন এ আমায় বড্ড জ্বালায়,
বকুলে সুবাস ভারি, ভ্রমর পালায়।
এও হয়?
হলো তো.......।


বুকের বা পাশ,
তোমার জন্য রেখেছি তিলের নাড়ু,
রেখেছি গালভরা চিনেবাদামের ঘ্রাণ।
রেখেছি আপ্রাণ কিছু সময় পালক।
নোলক হারিয়ে গেছে, করছি তালাশ।
তিতিয়ে বুকের মাশ,
তোমার জন্য রেখেছি কিছু
আরক্ত পলাশ।


বুকের বা পাশ
এখন ঘাটের জলে
কলসি ডোবে বেভুল গরবে,
গরলের দামে নিদারুন অমৃত পাবার আশ!
আমিও ডুবি, চোরাবালি টানে যে ভীষণ,
না হয় হলাম আমি প্রেমে পোড়া লাশ।


আমার জন্য কী রেখেছ তুমি?
এক বুক ভালোবাসায় থইথই বুকপকেট?
নাকি যৌবন বেচে কেনা বার্ধক্য লকেট!
বিষের শিশি?
নাকি ন্যায্য দাবির দায়ে মরে যাওয়া হাজার চুরাশি?
তুমি যা-ই দাও,
কলকল বয়ে যাবে উদাস তিতাস।
বুকের বা পাশ,
তোমার জন্য রেখেছি কিছু জ্বলন্ত পলাশ।