আমি ব্রহ্মচারিনী নই....
      ছিলাম না কোনদিন।
আমিও শরীর খুঁজেছি
ঠিক রোদের মতো,
শান্ত দিঘী, খরস্রোতা কর্ণফুলীর মতো,
সবচেয়ে বেশি চেয়েছি
                   ধ্রুবতারার আলোক যত...........।


যে সন্ধ্যার ফ্যাকাশে আকাশ
গাঢ় অন্ধকারে সবুজ খেয়েছে ;
নিস্তব্ধ বেলকনিতে ফুটে উঠেছে তৃষা
সেই অমোঘ মেদুর ক্ষনে
শরীরের প্রতি কোষ মরুভূমি;
চোখ ভরা নেশা.......


বাতাসে জেগেছে কাম, অবিরাম!
অতনুর মতো অদৃশ্য.....
প্রকৃতির লীলা, সন্ধ্যাবেলা
সাঁঝবাতি ভাবুক করেছে যত;
ততটা, ঠিক ততটাই ছুঁয়েছি আমি
স্বপ্নে প্রেমিকের ত্বক।
দেখেছি অপলক
দূরের চাঁদের মতো।


যেন অলক্ষ্যের ইশারা কিংবা
দেহের খোলসে রূহ,
আজো সে দূরবর্তী কেউ,
থেমে থাকেনি তবু বাসনার ঢেউ।


জলে, বাতাসে , ঝড়ে কিংবা গভীর অন্ধকারে
নিঝ্ঝুম একাকী ঝরণা কলমে
সে আমার একান্ত নিজের;
         সুন্দরতম সুদর্শন!
               নিভৃতের নীলপদ্ম নিরালা ঝিলমে……।


ব্রহ্মচারিনী নই,
ছিলাম না কখনো।
প্রতি রক্তের কণায় কণায় প্রতিটি কোষে,
চেয়েছি এতটা নিবিড় আপোষে,
সে পুরুষ থেকে হয়েছে প্রকৃতি ভীষণ,
হয়ে গেছে অদম্য আকাশ,
নিরালা বেভুল বাতাস।
হয়ে গেছে আরব্য গোলাপ,
ইশাণ কোণ, নিনাদী অভ্র আলাপ………


এই সেঁজুতি সাঁঝ, লিলুয়া জীবন
আর এক নির্ঝঞ্ঝাট বুক নিঃশব্দে জেনেছে
প্রেমিক আমার আবিরের মতো
বাতাসে মিশেছে।
অভিমানে হয়ে গেছে পেঁজাতুলো শরৎ-আকাশ,
ফুটে উঠেছে বাসন্তী বাহার।
তাই বৃষ্টি আমার কাম,
কিশলয়ে প্রেম
আর অরণ্যে সংসার ………।


ব্রহ্মচারিণী? সে আমি একদমই নই।
পরাবাস্তব মিলনে মুহিব্বি আমায়
করেছে এতটা উন্নাসিক,
অসূর্যস্পর্শা থেকে হয়ে গেছি
দিগন্ত পথিক!
বসুধার সব জল ,সবটুকু মায়াবী সৃজন
মিশে গেছে বেমালুম কামে, নামে, ধামে!
যত লিপিই জন্ম নিক
মেহু'কে পাবেনা কেউ সংসার খামে…………।