যখন শুকিয়ে গুড়ো ভাঙা দোয়াতের কালি,
যখন পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে যায় সহস্র ফালি!
যখন চৌচির নীহারিকা, উধাও সুপারনোভা;
তখনও তোমাকেই ভালোবাসি।
প্রচন্ড দৌড়েও ছুঁতে না পারা দুরন্ত বগি
যখন অযোগ্য উপাধি কপালে সেঁটে দেয়,
যখন আমার বুকে দাপ্তরিক উইপোকা,
ক্রমশ আধুনিক হয়ে ওঠে,
যখন আনত আনন রোদে লাল কিংবা বেদনায় নীল।
আমি তো তোমাকেই,
শুধু তোমাকেই ভালোবেসেছি।


শুধু কি গোলাপ কিংবা বেলী ছুঁয়েই ভালোবাসা হয়?
কত লোহিতসাগর রক্তে বয়ে গেল
তুমি তুমি করে
মেঘ বিদ্যুৎ অসীম শরীরে।
নিজের নিপাট সাদা কংকালে
খোদাই করেছি তোমার সাক্ষর।
প্রেমের এ ভাষার বর্ণমালা তুমি কি শেখোনি?


অবসরে এসো শান্ত চিলেকোঠায়,
তোমার বুকের স্লেটে
প্রেমাক্ষর এঁকে দেব।
তুমি জানতে শিখবে প্রেম কতভাবে হয়!
ঠিক কত ভাবে,
কত শত সহস্র উপায়ে উন্মাদ হয়ে
বলা যায় ভালোবাসি।
কত সহজে উজার করা যায় কুবের-ভান্ডার।
কতটা গভীরে থাকে অশত্থ শেকড়।


চাইলেই সব বোঝা যায়,
প্রেমিকার মন, বিক্ষিপ্ত চিন্তন
কিংবা অভিমানে আনত আনন।
চাইলেই থেকে যাওয়া যায় পুরোটা জীবন।
চাইলেই আলোকিত হয় অমানিশা রাত।


হচ্ছেনা কেন?
কী সেই নিগুঢ় কারণ?
ছাড়ো তো, ওসব নেহাতই অযুহাত.........