দিনের পর দিন
আমায় এমন ছাপোষা দুঃখ দেবার দুঃসাহস
তোমার হয় কী করে?


গলায় আটকে যাওয়া পানির মতো বিপদ
কিংবা আঙুলের ডগায় ছোট-পায়রা মাছের কাঁটা গেঁথে যাওয়া!
মাসের শেষে পার্সের রোগাভাব
আর দাপ্তরিক উইপোকার একঘেয়ে বাসা।
কিংবা মধ্যবিত্ত চটিতে পিচের টুকরো
খচখচ, খচখচ।
প্রেমিকের শক্ত তালুতে অযথাই
শুকনো পাতার মতো সমর্পিত,
অসহায় মচমচ!
প্রিয় আকাশি শাড়িতে হুট করে চায়ের দাগ,
বয়ামের চিনি তলানিতে চলে আসা,
ধূসর খামে প্রতিদিন নিপাট সাদা চিঠি
ইত্যাদি ইত্যাদি।


এখনো এসব নিয়ে পড়ে আছো?


আমায় উড়তে দাও,
পুড়তে দাও,
ছুঁড়তে দাও তীর
ঘূর্ণায়মান মীনের চোখে।
কিরীটীর চোখ হতে চাই........
খুঁড়তে দাও আত্মার শেষ স্তর,
খুঁজে পেতে চাই রূহের জীবাশ্ম।
শ্বেত-অশ্বের নালে গুড়ো হতে দাও
আজন্মের জড়তা,
ধুয়ে যেতে দাও সব আত্মগ্লানির ভস্ম।


ছাড়ো, আমায় ছাড়ো।
আমায় ছাড়ো এই অলস ক্লান্ত বিকেল
আর শেকল কালো রাত থেকে।
অথবা অজানা পুরুষের
কাল্পনিক মায়ার কবল
আর বিরহের নীল ছোবল থেকে,
মুক্তি দাও, মুক্তি দাও।
যুক্তি দাও আকাশ ছোঁয়ার।
ডুবে যেতে দাও অতল মহাসাগরে,
ভয়ংকর ইলের শরীর ছুঁয়ে আমি পুড়ে যেতে চাই,
ডলফিনের শীতল আলিঙ্গনে ফের বেঁচে উঠতে চাই।
আচমকা পড়ে যেতে চাই
কোন প্রাগৈতিহাসিক টাইটানোবোয়ার
গোগ্রাসী চোয়ালের সম্মুখে।
টারজান হতে চাই,
ছুঁড়ে ফেলে দিতে চাই এই অবলা কথামালা।
এরচে' ভাষাহীন বন্য জোয়ার ভালো।


আয়না, আমার আয়না।
একবার কি ছুটি দেয়া যায়না?
যাই ঘুরে আসি একবার.......
কথা দিলাম, জিষ্ণু হয়ে ফিরে
              তোমার হৃদয় বিদ্ধ করব।