কখনো কলমের নিবে
কিউপিড ভর করে।
কখনোবা পুরো কালির টানেল জুড়ে
দিগ্বিজয়ী বীর
ঘোড়া ছুটিয়ে অসীম দৌড়ে মত্ত,
আরো আরো তেজদীপ্ত!


কখনো ফাঁপা খাপে
জীবনানন্দের উদাস হৃদয়ের
না বলা হাহাকার ঘুরপাক খায়।
কখনো আমার না লেখা খাতা
অভিমানী কুমারীর সফেদ লাশ
কোন স্পর্শের গল্প নেই,
নেই কোন প্রেমিকের স্মৃতি।
কখনো বিকেলগুলো নস্টালজিক ঘ্রাণ,
কিশোরীর পায়ে লাগা
বেলেমাটি ধুলো।
করতোয়ার পাড়ে সূর্য ডুবে এলো
ঠিক যেন আঁতুড় শিশুর ঘুম।
সন্ধ্যেগুলো একা আয়নায়
ভুলভাল কথোপকথন,
ভাবনায় ডোবা মন আর বিশুষ্ক জীবন।


কখনো রাতগুলো নিকষ কালো
সে আঁধারে কোন প্রেমালাপ নেই
নেই উষ্ণ স্বপ্ন বোনা।
নিজের মধ্যে নিজে সহস্র পলক ডুব।
কখনো কলমের নিবে
গঙ্গার শুচি,
কখনো যমুনার কলঙ্ক ভীষণ।
কখনো কালীয় নাগ বিষ উগড়ে
দোয়াত ভরেছে,
কী একাগ্র বিষাক্ত বিষাদ!


এভাবেই কখনো আমি কবি,
কখনো নিশ্চুপ তৈলচিত্র ছবি।
কখনো কবিতারা সোচ্চার কমরেড,
কখনো ওরা বুদ্ধের নির্বাণ বুকে নিয়ে
নিস্পৃহ নিরেট।


চাঁদের দশা? সে তো প্রাগৈতিহাসিক......
আকাশের তেমন কিছু যায় আসে না।
তোমার থাকা কিংবা না থাকায়
কবিতার পঙক্তিতে অবিনাশী ছায়া
এখন আর একদমই ফেলে না।