হয়ত কল্পনায় হয়ত অসম্ভবে
তবুও তো ছিলে কিছুটা আমার,
কেন এক ঝটকায় নামিয়ে দিলে
কীর্তিনাশার জলে,
হারাতে চেয়েছিলাম আমি প্রশান্ত অতলে।


মায়ায় মায়ায় ছায়ায় মায়ায়
না হয় আরো কিছু দিন,
বেঁচে থাকতাম লাল নীল ফড়িংয়ে।
কোত্থেকে এলো এই রাক্ষুসে চিল,
তালা পড়ে গেল সব তিড়িংবিড়িংয়ে!


লাল আঁচল জড়িয়ে ভেবেছিল
আজ তার বৌভাত।
যুক্তির কোদালে কুপিয়ে কবর,
সযত্নে কাফনে পড়ালে।
চারদিকে ছড়িয়ে ছিল লোকারণ্য,
শুধালাম কোন উৎসবে এই গুনগুন কানাকানি?
কানে কানে বলে দিলে
এসব শোকের দিন, নেহাতই কুলখানি।


নাকে মুখে কর্দমাক্ত বিষাদে
আমি তো মিশেই যাচ্ছিলাম
নিরবে সঙ্গোপনে।
মমি করে রেখে দিলে যুগান্তর ব্যাপি
কী লাভ হবে যদি হই 'ইতিহাস'?
বলতে পারো,
একটা কবরে, আমার কতগুলো লাশ?


হয়ত কল্পনায় হয়ত অসম্ভবে
তবুও তো ছিলে অনেকটা আমার;
হাঁড়িতে ভাতের বলকে ওঠা তাপে,
সানকিতে, কুঠিরে কিংবা মেঠোপথে,
ভাঁজ করে রাখা শাড়ির সুবাসে,
হাতের তালুতে পদ্মপুরাণ মেহেদী হয়ে।
কেন এক নিমিষে চিনিয়ে দিলে
গন্ডি দুয়ার, কেন গড়ে দিলে সীমানা প্রাচীর।
বাবুইয়ের ঘর ভেঙে হলো কোন যুদ্ধজয়?
কল্পনাই ছিল যার জীবনের শেষ সঞ্চয়!


এ মন তো আর কোনদিন পাবেনা সাহস
পায়রার পায়ে চিঠি বেঁধে দিতে,
আর কোন ঘুড়ি উড়বেনা অসীম আকাশে
হৈহৈ রৈরৈ করে বলতে পারবে না
"তুমি আমার, আমার, আমার, শুধুই আমার!"


হয়ত কল্পনায় ভীষণ অসম্ভবে,
তবুও তো ছিলে পুরোটা আমার
নামে নাম জড়িয়ে ছিলাম অপূর্ণ প্রেমেতে।
স্বর্ণালি প্রজাপতি মরে গেল, হায়
তোমার ইস্পাত তালুতে!


একটা জীবনে কতবার যমের নিঃশ্বাস?
ওগো বলোনা,
একটা কবরে, আমার কতগুলো লাশ?