চোখ তো আমার মাত্র দুটো
কাঁদাবে আর কত?
আমি অন্ধ হলে তোমাকে কে
দেখবে আমার মতো?


অবাক চোখে কে আর অমন
চাইবে চোখের পানে?
ছাই যদি হই তোমার দেয়া
কঠোর অগ্নিস্নানে!


কুঁকড়ে যাওয়া ছোট্ট শরীর
কান্না জড়োসড়ো,
ভর সন্ধ্যায় অশ্রু অঢেল
কাঁপছে থরোথরো।


শুকিয়ে গেছে শালিক পাখি
মায়ার ছায়া নাই।
কড়ই গাছের সকল পাতা
মুখ ফেরালো তাই।


এত্ত বড় এই পৃথিবী
সবার আছে ঘর,
আমিই কেবল ছন্নছাড়া
অথৈ যাযাবর।


তোমার বুকে মস্ত বাগান
সূর্য গাঁদার মেলা।
আমিই কেবল পর্তুলিকা
ক্ষনিক জীবন বেলা।


কান্না বুঝি পায়না আমার
মানুষ বুঝি নই?
মাঝখানেতে চীনের প্রাচীর
মস্ত দলিল সই।


নাই অক্ষর, নাইকো দলিল,
নদীর জলে ভাসি।
একূল ওকূল সব ছাপিয়ে
তোমায় ভালোবাসি।


এই দুনিয়ার হিসেব নিকেষ
তুমিই জানো ভালো,
আমি নেহাত অন্ধ হরিণ
ছুটছি খুঁজে আলো।


গদ্যে পদ্যে নৃত্যে গানে
খুঁজতে গেলাম তাই,
বদনামী চাঁদ গুড়ো হয়ে
করলো কপাল ছাই।


একটা আকাশ তেমন রবে
যেমন ছিল আগে,
নাহয় তোমার অবহেলাই
জুটলো আমার ভাগে!


নাহয় তোমার স্মৃতির কোণে
ঝাপসা ছবি হবো।
আয়না দেখে নিজের গল্প
নিজেকেই শোনাবো।


কান্না আমার পান্না হয়ে
তোমার বুকে পড়লো না,
আলিঙ্গনে এ অঙ্গনে
অযুত বকুল ফুটলো না।


বাবলা কাঁটায় মন বিঁধিয়ে
আঁচল ছিঁড়ে শেষ,
এক সকালে জানবে হঠাত
মেহুল নিরুদ্দেশ।