কাল যখন ভালোবাসার কথা বলছিলে
সমস্ত মহাকাশ থেমে গিয়েছিল।
থেমে গিয়েছিল কালের চাকা
জাগতিক শব্দ-সমাহার।
কান পেতে শুনেছি
প্রত্যেকটা ধ্বনি.....
যেন কোনদিন এর চেয়ে মধুর কথা আমি শুনিনি
যেন সাহারার বুকে এই প্রথম বৃষ্টি এলো!


কী তীব্র আকুলতা জন্মালো,
কী ভীষণ ব্যকুল হয়ে ছুটলাম
চলন্ত ট্রেনের পিছে......
শব্দগুলো বগির মতো সারি বেঁধে বাতাসে উড়ে গেলো!
অস্থিরতায় কতটুকুই বা জমলো বুকের কোণে?
ইচ্ছে হলো ফ্রেমে বেঁধে রাখি
ইচ্ছে হলো চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিই
শান্ত দু চোখ!
তোমার নয়নে আমার জীবনের ম্যাপ আঁকা।


অগ্নিকুণ্ড জ্বালো,
জমিনে বিছিয়ে দাও জ্বলন্ত লাভা,
চাবুকের ঘায়ে জর্জরিত করো,
ফাঁসিতে ঝুলাও
কিংবা এক ধাক্কায় ফেলে দাও অথৈ দরিয়ায়....
কী পরীক্ষা দেব বলো?
কোন কষ্টিপাথর ছুঁয়ে বললে তুমি বিশ্বাস করবে
আমার আমিতে তুমি ছাড়া কিছু নেই।


আমি নতজানু
ক্লান্ত ভীষণ।
আমায় গ্রহণ করো।
একলা পায়ে আকাশগঙ্গা হেঁটে এসেছি,
সাইবেরিয়ার শীতে আমি পীড়িত।
সাইমুমে আমার একমাত্র ঠাঁই উড়ে গেছে,
পুড়ে গেছে দাবানল তাপে।
যেমন করে একা এক দলছুট পেঙ্গুইন
উদাস দাঁড়িয়ে ভেসে যাওয়া
ভাঙা বরফের টুকরো গোনে,
কিংবা গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাওয়া
নিরীহ হরিণশাবক
অন্ধকারের প্রতি ন্যানো সেকেন্ডে এক একবার করে মরে!
আমি কাঁপছি ভীষণ,
ভয় পাচ্ছি ভীষণ।


এই ঘুমোলাম,
চোখ খুলে যেন দেখি তোমার বুকের ওমে
আমি আদুরে হয়ে গেছি।


আমি নতজানু
ক্লান্ত ভীষণ।
আমায় গ্রহণ করো, প্রিয়।