কবিতার প্রতিটা চরণ চন্দ্রবোড়া হোক,
এই আধখেঁচড়া জ্যোৎস্নায়
আমার বিষের প্রপাত চাই।
প্রতিটা ধ্বনি হও পেশোয়ার খঞ্জর,
মরে যেতে চাই মাস্তানি-শেকলে!
প্রতিটা স্তবক হও বরফচূড়ার ধ্বস,
হুড়মুড় করে হানা দাও
এই অপয়া রাজঅম্ল ঘড়িতে।


বাজপাখি দল, পাক খেয়ে নেমে আসো
বাঁকা নখ নিয়ে,
শকুনের সাথে পাল্লা দিয়ে নয়ন খেয়ে নাও।
কত আর দেখব এই পোড়া চোখে?
কত আর ভালোবাসব ভালোবাসি ভালোবাসি বলে?
দিন শেষে শ্মশানের ছাই বালুচরি আঁচলে!


পৃথিবীর সব অনাহুত বীজ
ডানা মেলে উড়ে আসো
অশ্রুর নোনা ম্যানগ্রোভে।
অঙ্কুরিত হও, হয়ে যাও বন
কোন এক হরিৎ পাহাড় সুখে।
গাছ নেই, পাতা নেই, নেই শেকড়ের 'শ'
দুনিয়ার বুকে এখন শুধু পরগাছা মেলা,
গ্রহটা ভুগছে এক নিকৃষ্ট অসুখে।


গল্পের প্রতিটা বাক্য হোক কলিঙ্গ প্রান্তর।
অশোকের শোক নিয়ে আসুক নির্বাণ।
ত্বকের নিচে মাংশ,
মাংশের নিচে কংকাল,
দেখে ফেলেছি সব। এখন অন্তরীক্ষে
নেই কোন মেঘ, নেই কুয়াশা, নেই স্বপ্নজাল।


তৃষ্ণায় সব নদী হেমলক হও।
মৃত্যুপুরীতে একবার যজ্ঞ করে আসি,
খোলসের ভেতরে যে নরম হৃদয়
তাকে হত্যা করে,
আর কাকে বলবো বলো, "বড্ড ভালোবাসি?"


আর কার হাত ধরে হেঁটে যাব দিগন্ত ছাড়িয়ে,
কাকে নিয়ে গড়ব নিজস্ব তাজমহল?
কার ছবি দেখে নিরবে কইব কথা?
কার কাছে জমা দেব এই হৃদয় অতল?


উপন্যাসের সব গুলো অধ্যায় হয়ে যাও চিতা,
সতীদাহ হয়ে যাক অসতীর অপবাদ।
লেলিহান শিখার মতো উড়ে যাক, ফুঁড়ে যাক
এক আকাশের শারদীয় নীল ছাদ।


আর কোনদিন, কোনদিন বাঁচা না হোক।
স্বপ্ন না দেখি যেন আর কোন রাতে,
হাসিমুখে না থাকি যেন কোন প্রভাতে।
কখনো না মুছুক হৃদয়ের কোন ক্ষত,
রক্ত ঝরুক অবিরত।


আয়ুর সবটুকু হোক কবরের কারাগার।
জেনে গেছি, বুঝে গেছি একটা বেদনার মৃত্যু মানেই
জন্ম আরেকটার........