মাঝে মাঝে কবিতারা
     বয়স্ক বেশ্যার মতো
          অসহায় পড়ে থাকে।


শব্দগুলো লাওয়ারিশ কুকুরের মতো
হতাশার হাড় চেটে যায়।
অপুষ্ট ধ্বনিগুলোর পাঁজর পেটেপিঠে একসার,
হাহাকার তখন কা কা, ঘেউ ঘেউ।


অনির্বাণ, তোমাকে বলব বলে যা বলা হলো না,
তাকে অপাঙক্তেয় নাম দিয়ে ফেলে দিতে বলো না।
এই রাস্তার পাশে কোন কাশফুল ঘাসফুল নেই।
শুধুই সভ্যতার ছুঁড়ে ফেলা
ছেঁড়া ফাটা, নিষিদ্ধ আর অসভ্য অভিধান;
শুধুই গলিত ভ্রুণের বজ্রকঠিন অভিশাপ
আর অযাচিত যানের অহেতুক অত্যাচার।


তারচে বরং আমায় ফিরিয়ে দাও।
মেঘের আঁচলে মুখ লুকিয়ে চলে যাই
হিমাচল অভিমানে।
কী বিশুদ্ধ বিরহ!
কী নিষ্পাপ হৃদয়
হেঁটে চলে অজানা চিরন্তনে।


মাঝে মাঝে উপন্যাস নগ্ন ভীষণ,
ঠিক যেন ধর্ষকামী যুক্তির ক্ষীপ্রতায়
কুঁকড়ে যাওয়া এক ফালি,
বেভুল জীবনেতিহাস।
এ বেলা থাক, নাইবা হলো আকাশকুসুম অভিলাষ।


অনির্বাণ, তোমাকে দেব বলে যে হৃদয় সাজিয়েও
দেয়া হয় নি,
তার আগেই তুমি হয়ে গেছ বন্টিত কার্তুজ গুলি;
আমার সে হৃদয় তুমি ছুঁড়ে ফেলো না।


অধিকার দিইনি তোমায়,
আমার তন্বী কবিতাকে বেশ্যা বানানোর।
কিংবা নিটোল হৃদয়ের মুখে শুকনো হাড় লটকে দেবার।
অধিকার দিইনি তোমায় আমাকে ভাঙার।
তবু যদি ভাঙতে আসো,
শপথ নিলাম
তোমায় গুড়িয়ে দিতে আমি দু'বার ভাববো না।