পৃথিবীর সবচে' ভয়ংকর কি জানো?
ডায়েরি।
একটা পুরোনো ডায়েরি
কোন এক চরম ক্লান্ত দিনের শেষে
তোমার হাতে পড়বে
আর সমস্ত দিনের ক্লান্তি সুপার নোভার মতো
ছিটকে পড়বে চতুর্পাশে।
তোমাকে উড়িয়ে পুড়িয়ে নিয়ে যাবে
অগ্নিগিরির দেশে।
তোমার কি এমন হয়?
আমার কিছু কি আছে তোমার কাছে?
শাড়ি, চুড়ি, নুপুর, মালা কিংবা চিঠি
অথবা নূন্যতম স্মৃতিটুকুও?
জীবনের আনাচে-কানাচে
চলতি রাস্তায় আমার কোমল পা
আর তুমি ঠিক কাঁচা খেঁজুর কাঁটা।
বিঁধে আছো অসম্ভব মন খারাপ হয়ে।  


ঘর গোছাতে গিয়ে তোমার ডায়েরি পেলাম
ইতঃস্তত কিছু কবিতা আর চিঠি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে!
কবিরা কিভাবে মিথ্যে হয়?
কিভাবে অমন গুছিয়ে মিথ্যে মিথ্যে চিঠির জন্ম হয়?
বিশ্বাস করো, আমি কেন
যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে!
তারপর ডুবে যাবে পদ্মার চোরাবালিতে,
ঢুকে যাবে আজন্ম গুয়ান্তানামো কারাগারে।
তুমি এক কুচকুচে গোলকধাঁধা।
গৌর বদন আর কবিতার খাতা?
ওটা তোমার কাছেই রাখো।
ও দিয়ে আর কোন কাজ নেই আমার।


আমার ভীষণ সতেজ বর্তমান,
পাতিলেবুর মতো সকাল,
কর্মব্যস্ত দুপুর,
বেলী ফুলে সুবাসিত সন্ধ্যা
আর কামিনীর রাত থেকে সরে যাও।
চাইনা, চাইনা, চাইনা তোমায়
চাইনা এক পলকও দেখা হোক
জীবনের কোন প্রান্তে।
স্মৃতি হয়ে থাকার যোগ্যতাও হারিয়েছ।


একটা বিশ্রী বেদনা হয়ে
সেই নারীর অন্তরে শেল বিঁধে আছো,
যাকে তুমি "দেবী" ডাকতে।
তোমার বিসর্জনের খেলায়
আমি ডুবে যাইনি,
মরিওনি।
পৃথিবীর সমস্ত অভিশাপ জড়ো করে
তোমার কাঁধে চাপালেও
আমার যন্ত্রণা মিটবে না।
মিটবে না ক্ষোভ।
বরং অভিশাপের গায়ে
তুমি নিজেই একটা অভিশাপ।


পৃথিবীতে সবচে' হিংস্র কী জানো?
বিশ্বাস.......
জ্যান্ত মাটির নিচে দাফন করে দেয়!
কোন পূর্বাভাস ছাড়া।