এই দ্যাখো, এত বেশি উদ্বেল কোরো না হৃদয়।
এত বেশি অস্থির করলে
আমার ঠিকঠাক কাজল পড়া হয়না।
মাসকারা ছড়িয়ে যায় ভুলভাল পাপড়িতে।
আকাশির বদলে কখন সরষেফুলি শাড়ি
পড়ে ফেলি হুশও থাকে না।
এবার তো থামো!
একটু তো রেহাই দাও।
এইযে আমার নিউরনে এত্ত দৌড়ে বেড়াও
তোমার ক্লান্ত লাগেনা?


ভালো হবে না বলছি,
প্রতিটা বিকেলে একই চায়ের কাপে
একই মোড়ে,
একই অপেক্ষায় যদি অমনি করে তপস্বী হও,
আমি তোমার ধ্যান ভাঙাতে
পলকও নেব না কিন্তু!
ভীড়ের মাঝে গুচ্ছের লাল গোলাপ এনে হাতে
ধরিয়ে দিয়ে বলব,
এই নাও আমার পৃথিবী।
কপালের টিপ খুলে তোমার নাড়িস্পন্দনে
রেখে বলব,
এই নাও হৃদয়ের চাবি।
কে জানে, হয়ত তোমার উদাস গালে
চুমুও দিয়ে দিতে পারি প্রথম কথোপকথনে।
নিজেও জানিনা আর কী কান্ড করব আমি!
আমি তোমার নরম চোখে বিমুগ্ধ!
দেখলেই কেন জানি অতসী ফুলের কথা
মনে হয়।
কী একটা অবস্থা দেখেছ?


শোন, শেষ বিকেলের ছেলে,
আমার কিন্তু ওসব রাখঢাক আসেনা।
আড়চোখে অত বেশি দেখো না।
যতই লুকাও প্রেম,
নারীর চোখে বাজপাখির মণি থাকে জানো?
বেশ জানি,
আমার পায়েলে তোমার হৃদকম্পন বেড়ে যায়।
টের পাই, আমি শ্যামলা পায়ের পাতা
তোমার পদ্মচরণ লাগে,
জানি আমার হাতঘড়িতে তুমি মহাকালের আভাস খোঁজ।
টের পাই তুমি আমাতে আসক্ত একাগ্র পূজারি।


এত বেশি অস্থির কোরো না,
এত বেশি আড়ালে আর থেকো না।
তুমি বোঝ না?
অই পথে এলে আমার পায়ের গতি কমে,
চোখ চঞ্চল হয়......
আমি আরেকটু বেশি নারী হয়ে উঠি।
আমার ক্লান্ত অফিস-ফেরত চোখে
বিকেল হলেই কেন কাজলের আনাগোনা?
কেন বিকেল হলেই ওই পথে
রাজ্যের সব কাজগুলোর কথা মনে হয়।
এ প্রশ্ন কী হিব্রু ভাষায় লেখা?


ছাড়ো যোগবিয়োগের গল্প,
অল্প অল্প করে হেঁটে আসো আমার হিয়ার পথে।
বিশ্বাস করো আমি ব্রহ্মচারিণী নই।
তুমি মনের কোণে
বাসনার বীজ বুনে দিয়েছ ভীষণ.........
কবিতার বেলকনিতে এক কাপ চায়ে
আমিও অপেক্ষমাণ।


শেষ বিকেলের ছেলে
  হাজার তারায় রাত সাজাব
       তোমার ভয়টা ভেঙে গেলে।