“ দোঁহের মিলন ঘটিবে, এ মদীয় গুরুর ইচ্ছে!”


আমার অট্টহাসি পাচ্ছে না,
আমার কান্না আসছে না,
শুধু রক্তধারায় কিছু গলে পড়ছে টুপটাপ।


“ আমি মদ্রদেশ হইতে প্রচুর সেনানী পাঠাইব,
ওরা তোমার বিজয়কেতন ওড়াইবে,
পথেঘাটে, নগরে প্রান্তরে।“


তার কি দরকার? লাশের পর লাশ
মাড়িয়েই তো চলেছি রোজ,
আমি একাই কি যথেষ্ট নই?
বিজয়কেতনের শলাকাটি তো আসলে
আমার পূর্বপুরুষের পাঁজরের হাড়,
ওড়ে পতপত করে নিষিদ্ধ যাপন ব্যপ্ত করে।


“ সয়ম্বরের বরমাল্যটি বহু যত্নে গাঁথিয়া আনিয়াছি,
রাজা মহারাজাদের দিকে দৃকপাত করিনে, আমি অপেক্ষমানা!”


আমার ঘোড়াটি প্রতিনায়ক হয়েছে খুব,
ওকে আর রাজপ্রাসাদমুখী করা যাচ্ছে না,
যাচ্ছেনা শোনানো মহাকালের নির্দেশ,
আপন আনন্দেই মশগুল-
আনন্দ আনন্দ আনন্দ!


“অতঃপর স্বচ্ছসলিলা নদীর মতোই দুজনায় বহিয়া যাইব,
আর ধর্মের কলটি বাতাসে নড়িবে টুংটাং,
গুরুর বাণী নিস্ফল হইবার নয়।“


মাটির সাথে কানাকানি হয়ে গেছে,
আমার ঘোড়ার গোপন ঘাসের গালিচায়
আমি এক নির্জন আগন্তুক-
পরম মমতায় মাখামাখি হয়ে আছি আমরা,
অবচেতনার স্বচ্ছতোয়ায় স্নাত।