তেমন করেই উড়ত তো আকাশ জুড়ে!
তেমন করেই জোৎস্না পেত রাত্রিতে!
আমিও হোতাম ত্রিমাত্রিক বন্ধনে
সিপহসিলার, মুক্ত আলাদীন।
কবজতাবিজ লুকিয়ে রেখে
পকেট ঢোল, জাহান্নামের
হাসিটিও হাসছি খুব,
শিকড়বাকর যাচ্ছে
খুলে এই তো বেশ,
মোমের বাঁধন
গিয়েছে গলে,
উন্মোচন;
উন্মনা
হচ্ছে
সে!



অভিকর্ষ টানেই আমার নাড়ীর টান।
অভিকর্ষ টানেই তোকে টানছি জোর।
ডানায় ভরা রোদ্দুরে তোর বিমল
ভাব, খাচ্ছে খুঁটে আকাশকুসুম
শিশিরপাত, তবুও ভালোই
পিছে ফেলেছিস স্বর্গরথ,
অভিসম্পাতে নেই তোর
কোনোই হাত, তাই কি
উদ্বাস্তু এই হাত
দুটোকে একলা
চাস! নির্জনে
নির্বিকারে
ভরিয়ে
দিবি!
দে!



উর্ধপাতনে উবেও যায় অলীক রাত,
ঝুলেই ছিলো কালিঝুলি মাখা হ্যাঙ্গারে!
অভিকর্ষও খুলছে দেখি মনের
দোর, পেরিয়ে যাচ্ছে চৌকাঠগুলো
অবলীলায়, দ্রিদিম দ্রিদিম
অসম্ভবের শুনছি তান,
সূর্য্যালোকের তপস্যায়
ডানার গিঁট, চোখের
তারায় লাস্যময়-
আকাশ ঠিকানা,
তাই আকাশে
উড়ে যাচ্ছে
নির্ভার
হয়ে
সে!


পাদটীকাঃ-গতদিনের পরিবেশনা ছিল অবরোহী ঘরানায়, আজ চেষ্টা করলাম আরোহীতে। এই ঘরানায় বাক্যের অক্ষর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে। এটি আরোহী পঞ্চদশ, প্রথম বাক্যে অক্ষর সংখ্যা ১৫, তারপর ১৪,১৩,১২...ইত্যাদি। কমতে কমতে পঞ্চদশ বাক্যে ১ হয়েছে।