পর্ণমোচী অভিমানের বাসর রাত থেকে জানালায় বসন্ত,
কস্তুরীনাভিতে মুখ রেখে ঘুমিয়েছি শ্রমণ আবহমান কাল!
এখন দোর খুলে দেখি, কিছু হিম পড়েছে উঠোনে,
কুড়িয়ে নিতে তুমি উদ্ভিন্ন কিশোরী~ মায়াকাননের রাশি রাশি ফুল,
জ্যোৎস্না প্লাবনের ঘর করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছো বুঝি কিছু!


এখন চাইছো খুলিতে আছড়ে পড়ুক শিলাবৃষ্টির ঠকাঠক দামাল দস্যুপনা,
কিছু ঝড়, কিছু ঝঞ্ঝা, কিছু উন্মত্ত তরবারি,
কিংবা ভিসুভিয়াসের উষ্ণ প্রস্রবণ ফোঁপড়া করে দিক কংকালের আদি অন্ত!
অন্ধকারে উঠুক ঠা ঠা অট্টহাসি,
প্রতিধ্বণিরা বাজুক আকাশে বাতাশে~ কি নির্দোষ অকপট এ চাওয়া!


এ প্লাবনটি উঠেছে অ্যাটলান্টিস মহাসাগরের অজানা এক উপকূলে,
যেখানে বসে আমি ফাৎনায় রেখেছি চোখ,
উড়ুক্কু মাছেদের পাখনায় ঝুলিয়ে দিয়েছি ফসফরাসের ঝালর-
এখন প্রদোষ লগ্ন- সময়ের কাঁটা স্থির করে বসে আছি~
ওড়াউড়ি শেষ হলে দু’একটা মাছ কি আর বড়শিতে বিঁধবে না!