ওরে ওরে কালো পাহাড়ের দল,ছুটে এল  দৈত্য  হয়ে।
             করতে চুরি নীল মেঘেদের।
আকাশ জুড়ে মেঘের ছোঁয়া ছিল পরশ দিয়ে,
এক নিমেষে করলে তারে চুরি।
সব টুকু নিয়ে গেলি চলি,
নিঃস্ব হয়ে মেঘেদের দল স্তব্ধ হয়ে গেছে,
কারো কোন শব্ধ নেই এক মিনিটের তরে।
মেঘের হানায় হয়েছে বাতাস  স্তব্ধ নিরাময়,
জানিনা আমাদেরও বুঝি হয়ে যাবে অনশন।
ভীষন চিন্তা লেগেছে মনে মাটি দের জলের,
মেঘকে কিনা করল চুরি, এ কোন সময় এলো রে।
এতোকাল ধরে বাস করেছি পাশাপাশি মোরা সবে,
প্রকৃতির সাথে আনন্দেতে মিলেমিশে একাকারে।
কারো সাহস হয়নি এখনো মেঘের দিকে তাকাতে,
সেই মেঘেরই হয়েছে চুরি এবড়ো অবিশ্বাস্য যে।
মেঘেরে হানা করা শক্ত আমরা তা যে বুঝি,
সেই মেয়েটা আজ নিঃস্ব হয়ে বসে আছে চুপি।
রাঙানো হাসি চাঁদ এসে বলে কে করল মেঘ চুরি,
নালিশ করে সূর্যমামাকে বসাবো শোভা আজি।
কেমন করে সমাধান হবে তাই নিয়ে তোড়জোড়,
        মেঘ যে এখন থেমে আছে,
কে বোঝাবে তারে করে হাত জোর।
বাতাস এসে বলে আমি চেষ্টা করতে পারি,
মেঘের ঘরে উঁকি দিয়ে মৃদু মন্দে ডাকতে আমি পারি।
জানিনা কেমনে পারবো আমি সাথী নেব জলকে,
দুজনে মিলে বললে হয়তো মেঘ রাজি হয়ে যাবে।
চাঁদ এসে বলে দেখ তোরা গিয়ে যদি পারিস কিছু করতে,
নতুবা কিসি আমি যাব মান ভাঙানোর ওষুধ নিয়ে।
সূর্যি মামা হেসে বলে ঠিক আছে তোরা দেখ,
     ভাঙাতে পারিস যদি অভিমান ,
তবেই দেখবো তোদের কেরামতির মান।
হেনো কালে  মিটিমিটি তারার দল বলে ওঠে,
থামলে তোরা আমরা যাবো সবার আগে মান ভাঙাতে,
এই নিয়ে জল্পনা চলে,
ওদিকে মেঘের  খিদেই  টান যে পড়ে।
দেখতে থাকে কে  এসে প্রথম ,
তাদের ভালোবাসে সান্তনা দিয়ে কাছে টানে।
মেঘেরে করেছে চুরি তাই নিয়ে যে হুড়োহুড়ি,
এমন সময় দড়গড়াতে  সবাই এসে হাজির।
বলল এসিএ মেঘকে ভয় কি তোমার আমরা আছি,
কে করেছে মেঘকে চুরি ধরবো সবাই আজি।
তোমরা শুধু বর্ণনা দাও কেমন ছিল চোর গুলি সব,
অমনি মেঘের ছোট টুকরো কেঁদে উঠে বলল।
দৈত্য যেন কালো রংয়ের শক্তি যেন তার অনোল চলে,
মুখগুলো সব এত বড়,
তাকিয়ে দেখলো শেষ হয় নাকো।
কেউ নয়কো ছোট্টোখাট্টো সবাই যেন দৈত্য কারতো।
হাত গুলো সব লম্বা লম্বা ,পা যেন তার হাতির থামবা।
আর করোনা জিজ্ঞাসা কিছু,
পারবে নাকো তোমরা করতে কিছু।
যা হয়েছে সব ছেড়ে দাও,
সবার সাথে থাকলে পরে,
আবার মেঘ তৈরি হবে নতুন করে।