বহু চর্চিত অজানা এক সুন্দরকে দেখতে চলেছি আমি
পাহাড়ের আঁকাবাকা পথ,দুরন্ত গতিতে ধাবমান সওয়ারি,
প্রতিটি কোণায় কোণায় লুকিয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হাতছানি!
পথের দুধারে সজ্জিত বৃক্ষরাজি ব্যস্ত রঙের খেলায়
হৃদয় আমার উদ্বেলিত,হিল্লোলিত,ময়ূরের ন্যায় নৃত্যরত,
মন মাঝারে ধ্বনিত হচ্ছে জলতরঙ্গের সুর!
সৌন্দর্যের বুক চিরে এগিয়ে চলেছি আমি
ঝকঝকে ঘন নীল ক্যানভাসে কে যেন
নানা রঙের জলছবি এঁকে চলেছে নিরন্তর!
সবুজের সাথে একাকার লাল ,কমলা,হলুদ ,বাদামি
সুবিশাল বনানীর প্রতিটি অংশ থেকে ঠিকরে পড়ছে রঙের ছটা!
রং রং, দিকে দিকে শুধু রং, রঙীন এক স্বপ্নরাজ্য যেন,
রঙীন সৌন্দর্যের শিরা উপশিরায় হারিয়ে চলেছি নিরন্তর!
অকৃত্রিম একমুঠো এই রং যদি ছড়িয়ে দিতে পারতাম
আমার জীবন গল্পের ফিকে পাতাগুলোয়!
অনেকটা সময় নিয়ে অত্যন্ত সযত্নে রচিত রঙীন মায়াবৃত্তের
মায়াজালে আবদ্ধ বিস্মিত হৃদয়জুডে় শুধুই বিহ্বলতা!
পাহাড়ের বুকে রঙীন প্রেক্ষাপটে চলেছে
আলো ছায়ার লুকোচুরি খেলা,
বহমান হিমেল হাওয়ায় আন্দোলিত বৃক্ষরাজি থেকে
খসে পড়া রং বেরঙের পাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে নিরন্তর!
অসংখ্য উড়ন্ত পাতার সঙ্গে উড়ে চলেছে
মনের মাঝে জমায়েত পুরোনো ইচ্ছেগুলো!
হিমেল হাওয়ার পরশে একরাশ নব আনন্দের বার্তা
স্বর্গরাজ্যের নিটোল সৌন্দর্য যেন আমার হাতের মুঠোয়,
বেদনা অবসাদ হতাশা নিরাশাদের নাগালের বাইরে এক সুখের স্বর্গ!
এত কাছ থেকে নিসর্গের অপরূপ রূপ ছুঁয়ে দেখিনি কখনো
জীবনের সবটুকু পেয়ে গেছি যেন!
রঙের বুক চিরে ওপর থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারা
ছুঁইয়ে দিচ্ছে প্রাণের স্পন্দন ,
অবাধ দৃষ্টি এগিয়ে চলেছে দূর থেকে বহু দূরে
নিংড়ে নিচ্ছে সৌন্দর্যের সবটুকু!
হারিয়ে যেতে যেতে কখন যেন নেমে এল আঁধার,
কালো পর্দার আড়ালে রঙের খেলা নতুন দিনের সুর্যের অপেক্ষায়!
মনের মাঝে হৃদয়ের কোণায় কোণায় জমে গেছে অনেকটা রং,
অকৃত্রিম ঐ রঙের খেলায় মোহাবিষ্ট,আবেশিত,বিমোহিত,বিমুগ্ধ আমি ফিরে এলাম আঁধার পেরিয়ে আঁকাবাকা পথটি ধরে আপন নীড়ে!
মনের মণিকোঠায় ততক্ষ্ণে জমা হয়ে গেছে জীবনের পরম পাওয়া,পরম পরিতৃপ্তির অনুভূতি!



(প্রিয় কবি সুমিত্র দত্ত রায়ের অনুপ্রেরণায় আমার Fall colour দেখে আসার অভিজ্ঞতা সংক্ষিপ্ত বর্ণনার মাধ্যমে তুলে ধরলাম।জানিনা কতটা পেরেছি!তবু আশায় রইলাম কিছুটা হলেও এই কবিতার পাঠক বন্ধুরা অনাবিল সেই সৌন্দর্যের কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ)