মা জননী
মঈন তাজ


মায়ের মতন কে আছে আপন এই জগতের মাঝে,
এতো মায়াভরা শান্তির ডেরা কোথাও পাবেনা খুঁজে ।
কষ্ট করিয়া জঠরে ধরিয়া আনিয়াছে মাতা ভবে,
বুক ভরা ব্যথা ভুলিয়াছে মাতা জন্মিলে তুমি যবে।
যতন করিয়া আদরে ভরিয়া রাখে মায়ে চোখে চোখে,
আদরের ধন কত যে আপন দু’চোখে স্বপ্ন দ্যাখে।
মানুষের মত মানুষ হইবে আমার সোনার চাঁন,
উন্নততর চরিত্র হইবে পাবে সে সুসম্মান।
হবে জ্ঞানী গুনী মহা সম্মানী দোয়া করে মায়ে সদা,
থাকে যেন সুখে নাহি কোনো দুখে আমার রতন গ্যাদা।
শত ব্যথা সয়ে তোমা বুকে লয়ে মানুষ করেছে মাতা,
শত ব্যস্ততা কত দুঃখ ব্যথা ভুলেনি শিশুর কথা।
কষ্ট করিয়া বেদনা সহিয়া ডেকেছেন বাবাজান্,
থাকে যেন সুখে দুধে ভাতে ভরা আমার সোনার চাঁন।
কত যে আপন আদরের ধন দরদী মায়ের কাছে,
ময়ের মতন এতো যে আপন জগতে কি আর আছে?
আদর যতন না করিলে মায়ের পূণ্য তোমার মিছে,
তাইতো প্রভু দিলেন বেহেশত মায়ের পায়ের নিচে।
সবার উপরে দিলেন মালিক জননীর সম্মান,
আদরে যতনে রাখিবে তুমি তোমার এ শ্রেষ্ঠ ধন।
এই ধরাধামে কিনিবে কি দামে মায়ের আদর খানি,
মায়ের মতন মায়াভরা মন কে দেবে তোমায় আনি।
জননী তাঁহার মুখের আহার দিয়েছেন মুখে তুলে,
শিশুরে ধরিয়া বুকে জড়াইয়া গিয়েছেন সব ভুলে।
অসুখে বিসুখে কাঁদিয়াছে মাতা ছেলের শিয়রে জেগে,
বিপদ আপদ আসিলে ছেলের মাতাই জেনেছে আগে।
ছেলের মাথায় হাত বুলাইয়া করিয়াছে মায়ে দোয়া,
ছেলের বিপদ কাটিয়া গিয়াছে পেয়েছে শীতল ছোঁয়া,
ছেলের কথায় পাইয়াছে ব্যথা করিয়াছে মাতা রাগ,
নাড়ি ছেঁড়া ধন ফেলিতে পারেনি করিতে পারেনি ত্যাগ।
এতো সহিষ্ণু নাহি ক্ষয়িষ্ণু এতো যে কোমল প্রাণ,
কত যে যতনে দয়া ভরা মনে গড়িলেন রহমান।
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ যে মাতা মহান রবের দান,
সকল ধর্মে সকল গ্রন্থে মা যে চির মহীয়ান।
কি দিয়ে শুধিবে বলো হে বাছা মায়ের দুধের ঋণ,
আদরে যতনে রাখিতে হইবে বেঁচে থাকে যত দিন।
সেবা শুশ্রূষা করিতে হইবে শিশুর মতন করে,
প্রভুর এ দান অমূল্য রতন হারালে পাবেনা মা'রে?
কত যে কষ্ট দিয়াছি গো মাতা তোমার কোমল মনে,
আপনার গুনে ক্ষমা করো মাগো আপনার সন্তানে।
শুনো তুমি ভাই ছুটিছো কোথায় পূণ্য করার তরে,
মা'ই যে তোমার ঋষি দরবেশ রয়েছে তোমার ঘরে।
পীর দরবেশ ছাড়িয়া যাওগো মায়ের চরণ তলে,
শান্তি মুক্তি রয়েছে সেথায় ইহকালে পরকালে।


ঢাকা
১৫/০৪/১৯