নিপুণ বাবুইপাখি
মঈন তাজ


বাড়ির পাশে তালের গাছে বাবুই পাখির বাসা,
সেই বাসাতে ছোট্ট পাখির নিত্য যাওয়া আসা।
ঝুলে ঝুলে হাওয়ায় দুলে জীবনটা তার খাসা
কি সুনিপুণ বাসা তাহার নেইতো বলার ভাষা!


সাজানো তার বাসা দেখে লাগে অনেক ভালো,
অন্ধকারে জোনাক ধরে জ্বালায় ঘরে আলো।
মেয়ে বাবুই বাচ্চা নিয়ে থাকে যখন ঘরে,
পুরুষ বাবুই খাবার নিয়ে আসে তাদের তরে।


দ্বিতল বাসা বানায় পাখি দারুণ নিপুণ করে,
অনিন্দ্য সেই বাসা দেখে চোখ দুটি যায় ভরে।
আন্দরে তার মেয়ে বাবুই বাচ্চা নিয়ে থাকে,
সদর ঘরে জিরায় পুরুষ অনেক কাজের ফাঁকে।


মনের সুখে বাবুই যখন প্রেমের গানে মাতে,
শিল্পী মনের শৈল্পিকতা ফুটে উঠে তাতে।
শিল্পী পাখি তাঁতি পাখি সবাই বলে তারে,
সকল পাখি শিল্প গুণে তাহার কাছে হারে।


কি সুনিপুণ মেধা মনন ভাবতে অবাক লাগে,
ভাবতে গেলে রবের কথা মনের মাঝে জাগে।
কত আছে এমন পাখি আমরা কি তা জানি,
যে বানালো এমন পাখি সেই বা কত জ্ঞানী!


যশোর
২১/০৮/২০