ও যেনো হাবিয়া দোজখ
মঈন তাজ


ও যেনো হাবিয়া দোজখ
দাউদাউ করে জ্বলছে আর  
অসাহায় নিঃস্ব মানুষ গুলো
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে,
বুক ফাটা আত্ম নাদে আহাজারি করছে।


নিরাপদ অট্টালিকার মানুষ গুলো দেখছে
চোখের জলের বিষাক্ত ব্যথার নদী।
অথচ তাদের গায়ে এতটুকু স্পর্শ  করেনা
ঐ দুঃখ নদীর জল কিংবা অগ্নিশিখা।


ও কী বস্তি!
ওরা কী বস্তিবাসী!
ওখানে কী মানুষ থাকে!
ওরা কী মানুষের মতই মানুষ!
ভাবতেই গা শিউরে উঠে আমার।


কেন এই জাহান্নামের খেলা?
কেন এই নিঃস্ব মানুষ গুলোর এত অবহেলা?
কেন এই নিষ্ঠুর নির্মম জুলুম জ্বালা?


একটি পোড়া ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই
আর একটি বিদগ্ধ ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
সন্তান হারা মায়ের ব্যথা ফুরাতে না ফুরাতেই
আরো কত মা নিঃসন্তান হয়।
বিধবার অশ্রু শুকাতে না শুকাতেই
আরো কত জন বিধবা হয়।


এই বিস্তীর্ণ পৃথিবীতে
কোথাও কী এতোটুকু ঠাঁই নেই?
এই নিঃস্ব অসহায় মানুষ গুলোর!
নেই কী এতটুকু নিরাপত্তা তাদের জন্য?
নাকি তাদের জন্য রয়েছে শুধু
এই নরককুণ্ডের অগ্নি জ্বালা?


যশোর
১৩/০৩/২০