পান কাহিনী
মঈন তাজ


দাদা খেতো নানা খেতো নানী খেতো পান।
আমিও রেখেছি ধরে সেই স্মৃতিখান।
মজা করে খেতো পান মনোয়ারা নানী।
খেয়েছিতো পান তার চুরি করে আনি।
চমন বাহার দিয়ে কি যে মজা পানে।
মজা করে মুখে দিয়ে মজিতাম গানে।
মুখখানা দেখতাম আয়নাতে চেয়ে।
কতটুকু লাল হলো তাজা পান খেয়ে।
মাঝেমাঝে পান খেয়ে মুখ পুড়ে যেতো।
ভাত খেতে কী যে ভারী কষ্ট না হতো।
বাটাভরা পান ছিলো ঘরেতে গাদী।
তবুও খেতোনা পান আমার দাদী।
যখনি যেতাম আমি নানা নানী বাড়ি।
তখনি খেতাম আমি পান সুপারি।
থাকতো পানের বাটা নানার ঘরে।
চুরি করে খেয়েছি তা খুব খেয়াল করে।
মনে মনে ভয় হতো যদি খায় ধরা।
নানার বকা থেকে পাবোনাতো ছাড়া।
যদিও নানীজি মোর নিবে সামলে।
তবুও হতো ভয় বকা খাবো বলে।
তাদেরি স্মৃতি গুলো রেখেছি ধরে।
তাই আমি পান খাই খুব মজা করে।
পরপারে চলে গেছে নানা দাদা দাদী।
নানী শুধু বেঁচে আছে স্মৃতি নিয়ে আদি।
দোয়া করি তাঁরা হোক জন্নাত বাসী।
পরপারে গিয়ে ওরা মুখে পাক হাসি।


যশোর
২০/০৯/১৯