ঋতুরাজ
মঈন তাজ


কী রূপ সুধা তোর, তাই নিয়ে এতো ঘোর,
এতো কেনো ভালো লাগে তোরে।
তোরে নিয়ে মাতোয়ারা, কবিকুল আছে যারা,
তোর প্রেমে হাবুডুবু করে।


নব রূপে নব সাজে, তোর কলতান বাজে,
কী যে এসে দোলা দেয় মনে,
চেয়ে চেয়ে তোরে দেখি, কবিতায় তোকে লিখি,
অনুভবি পাতা ঝরা বনে।


গাছে গাছে কচি পাতা, শিমুলের মালা গাঁথা,
প্রকৃতির অপরূপ দান,
পলাশের ডালে ডালে, কী রূপ সুরভী দোলে,
কোকিলের কুহু কুহু তান।


কৃষ্ণচূড়ার লাল, দেখেছি তা বহুকাল,
তবু লাগে নতুনের মত,
বসন্ত রূপ-সুধা, যত দেখি বাড়ে ক্ষধা,
চেয়ে চেয়ে দেখি তোরে কত।


বসন্ত সমীরণে, অকারণে আনমনে,
ঢেউ তুলে শাড়ির আঁচল,
বাসন্তী শাড়ি তার, দেখেছি তা শতবার,
হরিণীর চোখের কাজল।


আম্র মুকুল কলি, গন্ধে মাতায় অলি,
চারিদিকে সাজ সাজ রব,
মউ মউ উচ্ছ্বাসে, বসন্ত এসে গেছে,
রূপে রঙে ভরে উঠে সব।


সবুজের ছড়াছড়ি, কচি পাতা যায় ভরি
নব প্রাণে জেগে উঠে বন
দখিনা মলয় দিয়ে, ভরে যায় এই হিয়ে,
আনন্দে নাচে তাই মন।


সুনীল আকাশ জুড়ে, সাদা মেঘ খেলা করে,
মুখরিত আলো ঝলমল,
বউ কথা কও পাখি, গলা ছেড়ে উঠে ডাকি,
ঋতুরাজ করে কোলাহল।


বাংলার ঘরে ঘরে, ষড়ঋতু খেলা করে,
আনন্দ বয়ে আনে কত,
বহমান কাল ধরে, বাঙালির মন ভরে,
এই ধারা চলে অবিরত।


ঢাকা
১৪/০২/২৩