শিশু শ্রমিক আমি
মঈন তাজ


কুঁড়ে ঘরে জন্ম আমার গরীব পিতামাতা
জন্ম থেকেই নাম লেখা তাই শিশু শ্রমের খাতা।
নুন নিতে যে পান্তা ফুরায় যায়না খিধা টুটি
তাইতো আমি পেটের দায়ে শিশুশ্রমে ছুটি।


দুমুঠো ভাত তুলে দেবো পিতামাতার মুখে
মায়ের মুখের হাসি দেখে শান্তি পাবো বুকে।
তাইতো ছুটি কাজের খোঁজে সকল কষ্ট সয়ে
নিঠুর বড় ভালের লিখন যাচ্ছি আমি বয়ে।


সেজেগুজে কত শিশু স্কুলে যায় ওরা
কত মজার জীবন তাদের লাগে মনোহরা।
সেই বয়সে আমি এখন পেটের জ্বালায় ঘুরি
শিশু শ্রমিক হয়ে আমি দারিদ্রতায় পুড়ি।


পড়াশোনার ইচ্ছে জাগে দাগ কেটে যায় মনে
পড়ালেখা কেমনে করি থাকি অনাটনে।
আমিও তো সবার মত চাই যে মানুষ হতে
দারিদ্রতার কষাঘাতে কাঁদি কেন পথে?


অন্য শিশুর খেলা দেখে আমারও মন কাঁদে
ইচ্ছে গুলো হত্যা করে দারিদ্রতার নাদে।
তাইতো খাটি পরের ঘরে শিশু শ্রমিক হয়ে
হতাশার এই ঘৃণ্য  গ্লাণি যাচ্ছি আমি বয়ে।


এই বয়সে সহ্য করি কত অবহেলা
লাঞ্ছনা আর গঞ্জনাতে কাটে জীবন বেলা।
আমারও তো জীবন হতো অন্য শিশুর মত
দারিদ্রতার কষাঘাতে জীবন হলো ক্ষত।


আইন খাতায় পাতায় পাতায় কত নিয়ম লেখা
বাস্তবতায় সে-সব নীতি যায়না কভু দেখা।
সত্যিকারের মানুষ যদি তোমারা হয়ে থেকো
আমাদেরও মানুষ হবার সুযোগ টুকু দেখো।


যশোর
১২/০২/২০