সতীর গুণে পতি
মঈন তাজ


বলতে পারো সংসারকে আগলে রাখে কে?
ধূপের মত নীরব পুড়ে গন্ধ বিলায় সে।
গিন্নি হলো ঘরের আলো সংসারে সে মূল,
সংসারকে আগলে রেখে ফুটায় শত ফুল।


কর্ম নিয়ে ব্যস্ত যিনি তিনি হলেন পতি,
সংসারটা সুখের করে সত্যিকারের সতী।
সুখের ফুলে ভরিয়ে তুলে সুবাস ভরা ঘর,
ফল ফসলে শ্যামল করে শুকনো বালুচর।


নর ও নারী দু'জন মিলে গড়ে সুখের ঘর
তবুও বলি জগত জুড়ে কদর আছে তাঁর।
পতির গুণে পূর্ণ সতী, সতীর গুণে পতি,
বুকের মাঝে আগলে রাখে দু'নয়নের জ্যোতি।


সেইতো নারী পুরুষকে যে করলো পরিপাটি,
খুব নিরবে ভেবেই দেখো বলছি কি-না খাঁটি।
গর্ব করে বলতে পারি নারী চমৎকার,
পাঞ্জেরী সে জীবন থেকে তাড়ায় কদাকার।


পুরুষকে যে যত্ন করে মানুষ করে তুলে,
এই পুরুষ-ই অবহেলায় যায় নারীকে ভুলে।
এই জগতে নারী হলো স্বর্গ সুখের শোভা,
গুণবতী সংসারে সে ছড়ায় রবির আভা।


ক্ষুদ্র কাজে ব্যস্ত সতী যায়না অত বোঝা,
করেই দেখো সেই কাজটি কঠিন নাকি সোজা!
পতি হয়েই  সতীর কাজে কদর করি কম,
গুণবতীর  গুণে  কিন্তু  ফেলি সুখের  দম।


বিতর্ক তাই যতই করো বলতে হবে শেষে,
নরীর গুণে নারীর রূপে জগত উঠে হেসে।
পুরুষ হলো প্রাণবন্ত নারীর কাছে এসে,
শক্তি সাহস যোগায় নারী বলবে অবশেষে।


সংসারে যে বিনাশ করে নয় সে গুণবতী,
ঐ নারী সে পায়না কভু মনের মত পতি।
রমণী নয় রাক্ষসী সে এ জগতের কাছে,
সত্যিকারের রমণী যার গুণে জগৎ নাচে।


যশোর
১৬/০৯/২১