হঠাৎ করেই প্রশ্ন করি বিবেকটারে-
ক'ফোঁটা জল ফেলেছিস তুই মায়ের জন্য?
যেই মা তোরে গর্ভে ধরে আনলো ধরায়-
যেই মা তোরে জন্ম দিয়ে হলো ধন্য?
ক'ফোটা তোর রক্ত-পানি করেছিস সেই মায়ের জন্য?


বিবেক আমায় বলতে কিছু পারে না কো,
নীরব থেকে কাঁপতে থাকে ভুলের দায়ে,
চক্ষু তখন অবোধ হলো বাঁধ না মানা-
শক্তি ধীরে কমে আসে পায়ে পায়ে!


আবার যখন প্রশ্ন করি হৃদয়টারে-
কতোবার তুই তাকিয়েছিস দরদভরে?
কতোবার তুই চেয়েছিস ক্ষমা-
কদমতলে লুটিয়ে পড়ে?
কতোরাত তুই জেগেছিলি তার শিয়রে-
যেই মা তোরে সকল বেলা আগলে রাখে?


বিবেক তখন রুদ্ধশ্বাসে হাপিয়ে ওঠে-
ওষ্ঠে তাহার কেমন যেন হাসি ফোটে!
বিবেক তখন উল্টো আমায় প্রশ্ন করে-
আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে সকল কিছু
ভাবছ তুমি বেঁচে যাবে হিসেব থেকে?
মনের সঙ্গে সন্ধি করে যখন তখন,
ভুলের মাঝেই কাটিয়ে দিলে সারা জীবন!
এখন কেন আমায় তুমি করছ দোষী,
আমার চেয়ে ব্যক্তি তুমি-ই দোষী বেশি!


বিবেক,বুদ্ধি,মনের সাথে ব্যক্তি আমি
অনেক রকম তর্ক-শেষে পরাজিত,
কেমন যেন একা একা লাগছে এখন
ভাবটা এমন-যেন আমি সর্বশান্ত!


দৌড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ি মায়ের পায়ে,
-ওমা,তুমি করো ক্ষমা এই অধমে!
আর কখনো দুঃখ তোমায় দেব না কো-
বাকী জীবন যাব তোমার চরণ চুমে!


মা জননির কোমল হৃদয়,কেঁদে কেঁদে-
বলেন তিনি,ওরে বাছা-এ ভূবনে-
এতো আপন কে আছে আর তুই বিহনে?
তুই যে আমার নাড়ি ছেঁড়া অমূল্য ধন,
বেঁচে থাক,তোরে লিখে দিলেম আমার জীবন!
=====<মন>=====