সহস্রাব্দ শেষে আজ মিলব দু'জনে,
কতো বিরহে,কতো বসন্তের কুহু-কুজনে!


তোমার বাঁকানো দেহে পরশ পরেনা কতোদিন,
যে দেহেতে সারাক্ষণ ছিল আমার ঋণ!
এ হাতখানি ছোঁয় না কতোকাল ঐ রেশমী চুলগুচ্ছ!
কবোষ্ণ বুকে কার ছোঁয়া বাজে,
ঐ নাভিমূলে ঢাকো কার লাজে,
ওষ্ঠ কাহার উষ্ণতা খুঁজে-দুনিয়ারে করে তুচ্ছ?


ভরা যৌবনকালে,
দুইজনে মোরা নেচেছি-কতোনা ভিজেছি বর্ষাজলে!
শীতের রাতে জড়ায়ে দু'জনে উষ্ণতা লেপতলে!
তব সোনামুখ খানি,
দেখিলে-নয়নে ঝরিত পানি,
আমি-তুমি ছাড়া কেউ ছিলো না-মোদের এ আকাশতলে!


নয়নের ঝরাজল,
গড়ায়ে পড়িত বুকের মাঝারে,
কিছুটা কাল যদি না দেখিতে মোরে,
কতোনা হঠাৎ খসিয়ে দিয়েছি তোমার খোঁপার ফুল!


অভিমানে কভূ ছিলে গদগদ,
ভাঙাতাম কতো ছলে অভিনব!
করুণ তোমার চোখের চাহনি মনেতে ধরাতো জ্বালা!
গড়াগড়ি যবে অসুখের ঘোরে,
সারা রাত ধরি সেবিছ মোরে,
শত কষ্টেও তুমি মোর লাগি গেঁথেছিলে ফুলমালা!


কখনো আদরে করিনি তো হেলা,
যদিও ছিনু মোরা উপোসে দু'বেলা।
সময় হঠাৎ থমকে গেলো তোমার বিদায় ক্ষণে!
জোরে জোরে ফেলে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস,
ছেড়ে গেলে তুমি ধরণী আবাস,
একটা কথাও বললে না তুমি বিদায় কালে!


তখন সন্ধ্যা ধরণীর কোলে,
তাকাইনু একা আমি দিঘি জলে!
আমার চরণ কোলে তব মাথাখানি রাখি তখনো-
চক্ষু মেলে জনমের লাগি দেখিলে মোরে!
চক্ষু মানেনি সেদিন থেকে বাঁধ কখনো,
জল ঝরেনি,ঝরেছে তোমার বিরহ রেণু!
..…..…।
..…..…।
আজ ছ'টা দিন।
আজ ছ'টা দিন,অহেতুক ঋণ-
বাড়িতেছে এই ধরণীর কোলে!
কোনো কিছু নাই,কি নিয়ে চলি,
মনের কথা কার কাছে বলি?
কে আছে এমন শুনিবে আমায়,
কার আছে অভিলাষ?
মনের কথা তাই শুনিল-
ক্ষুদ্র দূর্বাঘাস!
..…..…
..…..…
আজ অবেলায় আকাশ কালো,
হঠাৎ দেখিনু মায়াবি আলো,
দেখিনু তোমায়!
সেই থেকে যেন
সবই এলোমেলো
চোখের তারায়!
তুমি যেন মোরে ডাকিছ-
আয় প্রিয় আয়,
আসিতেছি প্রিয়ে,
হে ধরণী আজি-তোমায় বিদায়!!!
=====<মন>=====