ঐ যে জোনাকি জ্বলে,
এ কিসের আগমনী বার্তা
নীরবে বয়ে চলে।
কালো আঁধারের বুক চিড়ে,
তার তলপেট ছিঁড়ে
যেন ঐ আলো ঝলমলিয়ে উঠে!
কেন,কোন সে রোষানলে?
কোন সেই অদৃষ্ট সংবাদ,
যা দিয়ে যায় জোনাকি রাতের অন্ধকারে?


শোন,শোন ঝিঁঝিঁ ডাকে,
এক শ্বাসে-অতৃপ্ত মনে
কি গান গায় সে?
কোন সে অব্যক্ত কথন,
এই অন্ধকারে করে গ্রন্থন,
বুক ফাটানো চিৎকারে-হাহাকারে
রাতের নিস্তব্ধ পৃথিবীকে করে রোমন্থন?


দেখ,দেখ সবে-আকাশ পানে চেয়ে,
নেই চাঁদ,ঐ তারার ঝলমলে
গহনায় আকাশ সেজেছে অপরুপ সাজে!
কোন সে কারণে?
পৃথিবীর বুকে আঁধার পড়েছে ঝেপে,
এ ব্যথা বুকে নিয়ে ঐ বাতাস ছুটে
থেমে থেমে,ক্ষেপে ক্ষেপে!
তারার আলোয় হয় নাকো দূর
ধরার অন্ধকার কালিমা।
তাই বুঝি ভোর বেলাতে
পূবাকাশে জাগে লালিমা!


লোকে বলে অমাবস্যার নাকি কালো ছায়া হয়!
আমি শুধাই-আলো বিনা কি ছায়া জন্মায়?
তবে কি সে ছায়া ঐ তারার আলোয়
কিংবা জোনাকির আলোর বিপরীতে হয়?


আমি ভাবি-পূর্ণিমার আলো কি পড়ে মানুষের মাঝে?
অথবা সূর্যের আলোর মতো দ্বীপ্তি?


আমরা আঁধার নিয়ে ভাবি,
ভাবতে শিখেছি!
তাই আঁধার ভালোবাসি!
তাই আঁধারেই থাকি!
আলো আমাদের শান্ত চোখের
কোমল চাহনীতে ঝলসে উঠে,
যেন পুড়িয়ে দেয় চোখের মনি!


তাই আলো চাই না-
চাই শুধু আঁধার!
আঁধারেই জাগি!
ঘুমাই আসলে প্রভাতি!
=====<মন>=====