আপনারে সবে জানাতে ব্যস্ত জগত মাঝে,
সে জানাও অজানা হয় তার জীবন সাঝে!


আমি না হয় ভিন্ন হলেম একটুখানি,
সম্মুখেতেই মুছে ফেলি চোখের পানি!
আড়ালেতে ডাকে আমায় স্বপন চোরা,
যার মাঝেতে পারিস নি কেউ ডুবতে তোরা!
মাথা পেতে নেই নিন্দা তোদের মন্দ করে,
সকলেই জানে বদরাগী আমি সবার তরে!
আমি ই জানি আমার ভেতর রয়েছে আর এক,
জানাতে চাই গো আপনার লাগি তাহারে বার এক!


বাহিরে আমার যা কিছু সব ছলচাতুরি,
ভিতরে আমার মরুদ্যানের শুষ্ক নুড়ি!
তৃষ্ণা অনেক,অল্পে তাই তো মিটে না তিয়াস,
ঊষ্ণ বাতাসে কষ্টে ছাড়ি গো বুকের নিয়াস!
অনেক মমতায় দিয়েছ-নিয়েছি অনেক কিছুই,
হিসেব দেবার মতন হিসেবে রাখি নি কিছুই!
যতই পেয়েছি-পুড়েছি শূণ্য গহ্বরে,
চেয়ে দেখি আজো শূন্য রয়েছি অবণীপরে!


কেউ জানে না মরুর কেন এমন খেলা,
যেদিকে বাতাস সে দিকে তার ধুলার মেলা!
সে বুঝে না গাছের ছায়ার শীতলতা,
সারা দিনের দগ্ধতা তার মধুরতা!
রাত্রিকালে নিঝুম যখন ধরণী পুরো,
তপ্ততারই বিষাদগলা হয় রে শুরু!
বুক জুড়ে তার নেমে আসে শীতল পরশ,
কাঁদে মরু! এই বুঝি তার মনের হরষ!


হারব বলেই খেলায় নেমেছি জিততে নয়,
সকলেই বলে বোকারাম আমার হয়েছে ক্ষয়!
উঁচু উঁচু কত কথা বলি কেবল নিঁচু হতেই,
ধিক্কার পেয়ে তোমাদের মনে মজা দিতেই!
রাগ করে কত কড়া কথা বলি কাঁদাতে নিজেরে,
থাকব না যবে এ রাগ তোমাতে রইবে মিশেরে!
নিন্দা করেই সুখী হয় যারা তোদের মাঝে,
নিন্দা করার সুযোগ দেই রে আপন কাজে!
তবুও সবারে ভালবেসে যাই আপন মতে,
জানি কেউ তা বুঝবে না এই বিশ্বরথে!
জানি কেউ হায় পড়বে না এ কবিতার খাতা,
জানি পরেই নষ্ট হবে ছিন্ন পাতা!
তবুও যাহা সত্য জানি নিজের ভিতর,
তারেই লালন করে যাব-দিয়ে পরম আদর!
শান্তি কেবল মনের মাঝেই রাখব পুষে,
সুখকে দেব বিলিয়ে সবারে হেসে হেসে!
কেউ তো স্মরণ করবে না আর মরণ পরে,
তাই চিরদিন লুকাই নিজেরে নিজের তরে!
সকলে মোরে পাষাণ জেনো,জেনো অপরাধী,
তব সুখ লাগি হব না কভুও আমি বাদী!
<<<<<মন>>>>>