এক যে ছিল মিষ্টি মেয়ে
দুষ্টু সারাক্ষণ,
ছিপছিপে সেই ঘাস ফড়িংয়ের
ছটফটানি মন।
সারাটা দিন হৈহুল্লোড়
দড়ি লাফ সাইকেলে,
ছুট আর ছুট পুকুরেতে ঝাপ
একটু সুযোগ পেলে।
পাড়ার যত আম আতা কুল
পেয়ারা জলপাই,
এমন কোন মগডাল নেই
পা তার পড়ে নাই।
এমনি করেই কেটে গেল তার
ষোল টি ফাগুন মাস,
কাজল চোখের কোনায় কোনায়
শত স্বপ্নের বাস।
পূর্ণিমাতে বেত্রাবতীর
দু’কুল যে উছলায়,
দুষ্টু ফড়িং হারাতে চায়
অচিন কোন গাঁয়।
হেমন্তের এক শেষ বিকেলে
কাজীরহাটের বাঁকে,
দুষ্টু চোখে মুচকি হাঁসি,
দেখেছিনু তাকে।
হাঁসির মাঝে কী ছিল তাঁর
চোখের ভাষা কী?
হাদারাম এক কবির কাছে
ছাইতে ঢালা ঘী।
কত ঢেউ আজও আঁছড়ে পড়ছে
বেত্রাবতীর তীরে,
কত যুগ গেল হিসেব রাখিনি
ক্যালেন্ডারের ভীড়ে।
দুষ্টু ফড়িং দুষ্টু ফড়িং
কোথায় তুমি থাকো?
আজও কী সেই হাদারামকে
চোখের জলে আঁকো?


(১৭-০১-১৮