তোমায় আমি ভিন্নভাবে ভেবেছি।
ভাবতে ভাবতে ভাবতে নিগূঢ় কোনো অচিন পথের ধারে-
সংরক্ষিত কোনো প্রাচীণ নির্মাণের উঠোনে এসে দাঁড়িয়েছি।
পথিকরা ক্লান্ত হয়।
মুসাফিররা শ্রান্ত হয়ে শক্তি নিতে আসে এখানে।আমিও তো তা-ই।
বিশ্রাম আমার প্রেরণা জোগায়।
আমি আবার ভাবতে ভাবতে ভাবতে এমন এক বিশ্বে এসে পা রাখি;
যেখানে তোমার অস্তিত্ব আছে শুধু মনে।ঘ্রাণে।অনুভবে।
যেখানে তোমার মুখটা নাই।চাঁদের মতো রূপ নাই।রোদ নাই,বৃষ্টি নাই।সৌন্দর্যের চাদর নাই।
যেখানে তোমার নাম শুনলেই হৃদয়ের অন্তঃস্থ সব কণা আলোড়িত হয়।
এমন একটা পর্যায়,এমন একটা অবস্থা যেখানে শরীরকে অতিক্রম করা যায়।
যে স্টেশনে পৌঁছে মনে হয় মানুষের 'মন'বলে অলৌকিক কিছু থাকে বলেই মানুষ ভালোবাসতে পারে।আর না হয়,
পশুর সাথে আমাদের পার্থক্য করা যেতোনা।
যেখানে আশা-নৈরাশ্যের গল্প নাই,সুখ-দুঃখ নাই,গ্লানি নাই,দুর্ভাবনা নাই,অহংকার নাই,লোভ নাই।
যেখানে স্বার্থ নাই,আকাঙ্খা নাই,চেতনা নাই।
যেখানে বাষ্পীভূত হয়ে যায় বরফের নিম্ন হিমাঙ্কে রাখা ভাবলেশহীন সময়।
যেখানে শুধু আশঙ্কা আছে।
তোমাকে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা।
জটিলতার হিসেবে ঘুমের অব্যাহত অভিমানে
ইনসমনিয়ার মতো ঘূর্ণন সন্ধিতে তোমায় না দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা।
অবশ্য মহামানবের ধ্বনিতে শুনি মানুষ হারায় না।আশঙ্কা উড়িয়ে দেই।
এই জগৎ থেকে অন্য এক জগতে মানুষ শুধু স্থানান্তরিত হয়।
আমি সেই জগতে গিয়েও কি তোমায় নিয়ে ভিন্নভাবে ভাববো?সেই ভিন্নতা নিশ্চয়ই এই ভিন্নতার চেয়েও ভিন্ন হবে,তাইনা!