নির্ধারিত ডিগ্রী পরিমাণ হেলে একটা হেলানো নক্ষত্র পৃথিবীতে আসবেন।
যিনি সত্যবাদী,সৎ নক্ষত্র।একইসাথে উজ্জ্বল।
আমরা তার প্রতীক্ষায় হাজার রাতের ঘুমহীন আয়োজনের সিকুয়েন্স ধরে রেখেছি।
আমরা কক্ষপথ ধরে রেখেছি,মহাকর্ষের হিসেব নিকেশ বারবার করে দেখে নিয়েছি।
যাতে করে আবার ভুল করে আইন্সটানিয়ান ফিজিক্সের জায়গায় নিউটনিয়ান ফিজিক্সের সূত্র খাটানো না হয়।
অর্থাৎ,আপেক্ষিকতা যেন বজায় থাকে।
হীরক খন্ড কিংবা নক্ষত্র এখনো আসেননি।
আমরা তার প্রতীক্ষা ইনসমনিয়ার মধ্য দিয়ে তাপ,চাপ,আলোসহ নানান উদ্দীপনার ঘ্রাণকে অনুমেয় সম্ভাব্য সবুজ আলোর বৈদ্যুতিক রোমাঞ্চে পরিণত করেছি।
এরোপ্লেন,মেট্রোরেল আর এসি বাসের আলোড়িত বিজনেস ক্লাস ট্রিপের সঙ্গে তার মায়াময়ী আগমনের গান বাজিয়েছি তরঙ্গের পাহাড়ে।
আমরা চেতনায় গাঢ় অপেক্ষকের ব্যবহার করেছি।
এখানে চলকই অপেক্ষক অর্থাৎ ফাংশনই ভেরিয়েবল।
এখানে,কবি ও কবিতা দুজনই এক।
নক্ষত্র এখনো আসেননি।
তার জন্য আমি গৌরীপুর জাংশানে দাঁড়িয়েছিলাম।
আখাউড়া থেকে কমলাপুর।
তারপর চট্রগ্রাম।
সেই নক্ষত্র শাহজালাল এয়ারপোর্টেও নামেননি।
তিনি নামবেন না?উঠে যাবেন?
নাকি বেশি নিচে নেমে গেছেন?
নাকি আমরা যে সময় ধরে অপেক্ষা করছি এর মাঝেই উনি এসে চলে গেছেন?
আমরা হয়তো টের পাইনি।
উনার সময় আমাদের চেয়ে ভিন্ন।
সময় আপেক্ষিক তো!
দূরত্বভেদে সময়ের পার্থক্য।সেই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান।টাইম মেশিন।
আমি ট্রাক্টরের শব্দ শুনতে পাই।
বিকশিত খোলা ধানক্ষেত।
সেই ধান হতে চালের ভাত আমি খাই।
সেই ধান ফলানো কৃষকও জানেননা নক্ষত্র কোথায়।
আমি শুধু শুধু সময় গুনেছি।
আমি তাকে দেখতে পাচ্ছিনা।ছুঁতে পাচ্ছিনা।
আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলাম,
"স্যার,আপনি কখন আসবেন?"
কোনো উওর এলোনা।
সেই উত্তরকে অভ্যর্থনা জানাতে কোন স্টেশন বা পোর্টে যেতে হয় তা আমার জানা নাই।