আমি অনেককিছু বুঝিনা।অনেক ঘটনা,সূত্র,তত্ত্ব,হিসেব।
যেসব যোজন ঘটে যাচ্ছে এই গাঢ় প্রভাবিত পৃথিবীতে নিয়ত।
থার্মোডিনামিকসের তৃতীয় সূত্র কিংবা আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব থেকে শুরু করে ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস কিছুটা মাথায় ধরলেও-
মায়াবী গাঢ় এই পৃথিবীর আলোকময় অন্ধকারের রাত
আর দুর্দিনে দুরাশায় কাঁদতে থাকা অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের বাস্তবতা আমি বুঝিনা।
আমি বুঝিনা তোমার কথার ছন্দে যেসব হরফ আমায় রাঙায় তাদের বরকত আর ফজিলত!
তবে আমার ভালো লাগে।
প্রচন্ডরকমের শিহরিত হতে আমার ভালো লাগে।
আমি এখানে মিশরীয় সভ্যতা দেখতে আসিনি।
কিন্তু,হঠাৎ যেন এখানে বসে অর্থাৎ,তোমার খুব কাছে বসে আমি শুনতে পাচ্ছি কিছুটা পরিবর্তিত গান।
যেখানে মিশে গেছে রঙিন বিকেলের মৃদু শৈত্যের ঘ্রাণ।
এখানে এসে আমি ভূমধ্যসাগর থেকে নির্ণয়কৃত দূরত্বে দাঁড়িয়ে হিসেব করতে পাচ্ছি-
তোমার রূহানিয়াত।
যা বলতে আমি বোঝাচ্ছি যে তোমার কাছে দাঁড়ালে আমি সোলায়মানের মতো বহুবর্ষজীবী হওয়ার সাধ অনুভব করি।
এইযে তাগিদ আর এইযে তাড়া-
সব কিছু আমায় বলে দিচ্ছে যে -
দরিয়ার স্রোতে অনেক মানুষ প্রাণও হারায়।
তবে কারো কারো বেঁচে থেকেও জান যায়।
আর তৃষ্ণা জাগিয়ে প্রাণহীন নিরুপায় সব দ্বন্দ্ব ডিএনএ'র মতো অনুলিপন করে মস্তিষ্কে।
তবু মানুষ বেঁচে থাকে।
আশায়-নিরাশায়,দ্বন্দ্বে-বিশ্বাসে,আয়োজনে-নিরালায়।
মানুষ প্রশ্বাস নেয় অস্থিরতায় কিংবা নিরব প্রার্থনায়।
জেনে হোক আর না জেনে,মানুষ প্রবেশ করে শরাবখানায়।
একই মানুষ মসজিদে ছুটে প্রমিত প্রার্থনায়।
মানুষ বেঁচে থাকে মাতৃভূমিতে স্থান আঁকড়ে ধরে অথবা মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মরুভূমির মরিচিকায়;জীবিকার জরুরিয়াতে।
আমি এসকল লৌকিকতার অন্তরালে গিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
আমি না বুঝেও তোমার নিউরনের ট্যালিপ্যাথি চাই।
আমি জেনেশুনেই অবুঝ থাকতে চাই।
আমার অভিলাষ এসকল যুক্তিতর্কের অন্তর্ঘাতের বাইরে গিয়ে  হাঁটার।
তোমার চাহনির সমান্তরালে।একটু ভিন্ন বাঁকে।