হঠাৎ বহু দিন পর এখানে,বৃষ্টির দেখা পেলাম।
তা-ও আবার এই পরবাসে!আমি বললাম।
বৃষ্টি তুমি সত্যি'ই এসেছ আমার ভালো লাগা!
কতদিন পর ভেজা প্রকৃতি বাতাসে ডাল ভাঙা।
আমি দেখেছি এখানের বৃষ্টি তীব্র শীত কালে।
ধূসর চারিদিক জনহীন পথ,পাহাড়ের ঐ ডালে।
পর্বত ঘেরা সুদূর আফ্রিকা সাজানো এক রানী।
বৃষ্টি ঝরে অদ্য এখানে মেঘেদের কুড়ায়ে আনি!
ঝরে ঝর-ঝর অকাতর বৃষ্টি এখানে শ্রাবণ যেন!
আহা কতদিন পর এমন প্রকৃতি স্বপ্নে কুড়ানো!
ধুয়ে গেছে আঙুর বাগান ধুয়েছে অদ্য আপেল।
নাশপতি ও কমলার বাগ জেগেছে এই বিকেল।
সব'ই আছে তবু কিছু নেই যেন,এখানের বর্ষায়।
তাইতো আমার অবুঝ মনটা বাংলায় ফিরে যায়।
যেখানে ছলছল বৃষ্টিতে ভিজে মস্ত সুপারির বন।
কলার পাতা মাথায় দিয়ে,ছুটে চলে নওজোয়ান।
বৃষ্টির পুকুরে পানকৌড়ি গিলে,লাফিয়ে ওঠা মাছ।
মাটির সোঁদা গন্ধ পেতাম,সেই মেঠো পথের কাছ।
টিনের চালে নূপুর বাজে,ধূসর দিগন্তে ঝরে পড়া।
কোন হাঁক ডাক নেই,মাঝে মাঝে ব্যাঙেরা বলে ছড়া।
ঝোঁপ থেকে বেরিয়ে বিলের পানিতে ডাহুকের দল,
চান্দা পুঁটির লোভে শুনিতাম মাছরাঙার খল খল।
আহা বাংলা এখানে'ই তুমি অনন্য সবার থেকে।
আমরা এতিম কল্পনায় আঁকি তোমার পরশ ছেঁকে!
মরার অর্থ তব থেকে মোরে ঠেলে দিয়েছে বহু দূর!
বাংলা আমার জন্ম ভূমি এই বাংলাতে'ই বাঁধি সুর।
তবু্ও এখানে বৃষ্টি এসেছে ভিজতে পারিনি হয়তো।
হব নিশ্চয় বাংলায় গেলে একদিন,এমনি শিহরিত।