** বাংলা ভাষার এক নক্ষত্রের নাম "হুমায়ুন আহমেদ" আমার কাছে যিনি "হুমায়ুন স্যার"। বাংলাদেশে পাঠক তৈরীতে তার অবদান লিখে বোঝানো সম্ভব নয়। আমার সৌভাগ্য যে পেশাগত কারনে স্যারের সাথে পরিচয় ছিল। সে কাহিনী বললে রচনা হয়ে যাবে!! স্যারের মৃত্যু আমাকে এখনো কাঁদায়, তাই কিছু লিখতে চেষ্টা করেছিলাম। একবারে পারছিনা, তাই কয়েক কিস্তিতে লিখতে চেষ্টা করবো। স্যার হয়তো আমাদের মাঝে নেই তবে বাঙালীর হৃদয়ে তিনি থাকবেন নক্ষত্রের মতোই......


দিয়েছেন স্যার অনেক কিছু
নিজেকে উজার করে
রাতের চাঁদোয়া আর
শিশির ভেজা ভোরে।


নিয়েছিও আমরা কেবল
ডাকাত লুটেরার মতো
ভাবিনি কখনো কেউ
কিছু কি দেয়া যেত।


চিনেছি আঁধারের মাঝে
আলোর কতো খেলা
জোছনার সৌন্দর্য্য কিম্বা
অদ্ভুত গোধুলী বেলা।


দক্ষিনা পবন আর
লিলুয়া বাতাস
দেখিয়েছেন সাদায় ভরা
নদীর পাড়ের কাঁশ।


অদ্ভুত আঁধার তবু
বলেছেন যে ভাল
সাদা কভূ পূর্ণ নয়
ফেলে দিয়ে কালো।


হিমু আর মিসির আলী
কিম্বা বাকের ভাই
বদির কান্ড মনে পড়লে
আজো মজা পাই।


হলুদ পাঞ্জাবী গায়ে
খালি তার চরণ
হিমু নামের ছেলেটাকে
করেছিলাম বরণ।


নীল গঞ্জের সুখী মানুষ
নীলু ভাবি ঢাকায়
নাম শুনলে আজো সবাই
পেছন ফিরে তাকায়।


** আজ না হয় এ পর্যন্তই থাক। লেখাটা ২৯'অক্টোবর-২০১২ইং শুরু করি, কিন্তু প্রথম ৪ লাইনের বেশি লিখতে পারিনি। আজ আবার শুরু করলাম.....................


.........................................................
.........স্বপ্নবাজ.........
২৯'অক্টোবর-২০১২ইং
২৬'জুলাই-২০১৩ইং
রামপুরা, বনশ্রী
ঢাকা।