ঐ চলেছে মরু কাফেলা উড়ায়ে তপ্ত বালু ঝড়
পিছু ফেলে স্মৃতচিহ্ন ধু ধু ধুলিপথ ধুসর প্রান্তর।
ঝাঁঝ মাখা রোদ আগুনের ঢেউ বালুসাগর পাড়ি
অষ্টাদশী বেদুঈনী মেয়ে কাফেলার যাত্রী উষ্টি সওয়ারী।


নেকাব উড়ছে হাওয়ায় অসংযত বক্ষ উড়নি
আগুনের গোলা লু হাওয়া চোখে দ্যায় ঢুলুনি।
সে দেহের ঢুলুনিতে উষ্টিসহ সৃষ্টি দোলে- পথের ক্লান্তি ভোলে
কাফেলার তরুণ যাত্রীর দোলায়িত মনে আরো ঢেউ তোলে।
ডুলির যবনিকা মেঘ ঠেলে বাইরে এলে চন্দ্রিমা মুখ
লু হাওয়া আগুনের চেয়ে বেশী পোড়ে তরুণ যাত্রীর বুক।
ডাগর আঁখি খোঁজে ছায়ামরূ নাসপাতি আঙ্গুর বাগান
পাথর নুড়ি ঝর্ণার সুর শীতল পানির উপাখ্যান।


কে জানে এ পথ চলা কবে কোথায় হবে শেষ?
কোন মরূদ্যান ছায়া বিথান অন্ধকার তাবুর নীচে
মুখোমুখি- চোখাচোখি আরেক জীবনের উন্মেষ।
ছুড়ে ফেলে নেকাব হেজাম তীর ধনুক তূণ
চকচক নেশার নয়নে কাফেলার যাত্রী হবে খুন।