নীলো তুমি ওঠো! চেয়ে দ্যাখো ঐ
রাতের পথিকে পথ দেখানো সেই চাঁদ দিয়েছে ডুব।
জলকন্যা বাঁকের মোড়ে শিশির বনের দোরে
দিগন্ত দুয়ার খুলে আসা দলবাঁধা আঁধার
ধীরে ধীরে গিলছে জোছনার সোনার সংসার
সারা প্রকৃতি এক অজানা আশঙ্কায় নিশ্চুপ।
জানি তুমিও ঘুম কাতুরে খুব
তবুও বলি শোন!
সেদিন বাসসের এক সাক্ষাৎকার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয়ে বললেন, তাঁর সরকার
‘সন্ত্রাস দমন’ নামক বিশেষ আইনের বলে
দেশজোড়া সন্ত্রাস নাশকতা দমনে হয়েছে বিশেষ সফল।
অথচ ঐ শোন! ঘিরে আসা আঁধার তলে
জেলে পাড়ায় জনগণের শোরগোল
রাইফেলের দ্রুম! দ্রুম! আওয়াজ
কেঁপে ওঠা গ্রাম সারা আকাশ আতংকে ভরে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ছত্রছায় আহারে-বিহারে
বেড়ে ওঠা দানবেরা নিতাই মালোর সর্বস্ব নিয়েছে কেড়ে
তবু দ্যায় নিক ছেড়ে
খুন করে তাঁরে রেখে গ্যাছে ঘরের দাওয়ায়।
এমনি করে আর কত কাল সহ্য করা যায় নীলো?
তুমি ওঠো!


তুমি কি শোন নি সেদিন?
শিক্ষামন্ত্রী যে নিজেই নীতিহীন
কত নীতির কথা গেলো বলে এসে আমাদের কলেজে
সাথে সাথে এও বলে গেলো যে,
তাঁর সরকার দেশের সকল শিক্ষাঙ্গনে
সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হয়েছ সক্ষম।
অথচ সেই মন্ত্রীমহোদয়ের বণ্টনকৃত অস্ত্রের কোন্দলে
ছাত্রছাত্রী বিভক্ত দলে বিদলে শিক্ষক শিক্ষিকা জিম্মি
শিক্ষাঙ্গন যেনো টেণ্ডারবাজীর আখড়া-রঞ্জিত রণাঙ্গণ।
আইন মন্ত্রীর বপনকৃত বেআইনির বীজ-চারাগাছ
দেশজুড়ে খুনি ধর্ষক লুটেরা নিপীড়ক চাঁদাবাজ
দুষ্টবৃক্ষ মহীরুহের মত বেড়ে উঠে সারাদেশ করেছে গ্রাস।
আর কিছু দল বিদল বেহায়া বেলাজ
জাতীর স্বার্থে নয়, নিপীড়িত জনতার পক্ষে নয়
শুধু নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে
গেছে ধ্বংস আর উন্নয়নের বিপক্ষে।
ওরাই যুক্তিহীন হরতাল ডাকে
কল-কারখানা প্রতিষ্ঠানে আগুন দ্যায়
শ্রমিক আর অসহায় জনতা পুড়িয়ে মারে।
সে আগুন রক্ত আর আঁধারে
আমারে ঘুমোতে দ্যায় না নীলো!
এবার তুমি ওঠো।