কবিতা তোমার দেখা পেয়ে
ভা্লো শরীর হলো না গঠন
ভালো করে হলো না শেখা স্কুলের পাঠ
ভালো ছাত্র হয়ে ওঠা হলো না আর
পরীক্ষায় খাতায় এলো না ভালো কোন মার্ক
ভালো করে ভালোবাসা হোল না কারো সাথেই।


কবিতা তোমার দেখ পেয়ে
খেলার মাঠেও ভালো খেলা হলো না আমার
ভালো করে ফেলা হলো না বুকের নিঃশ্বাস
কী যেনো বিঁধে আছে বুক আর পাঁজরে
কী এক অজানা বেদনার ঘুঙুর নিরন্তর
বড় একা করে রাখে আমারে।


কবিতা তোমার দেখা পেয়ে
সরকারী আমলা হওয়ার সৌভাগ্য হলো না আমার
এমন কী কোন দলের গডফাদারও।
পাড়া প্রতিবেশীর আশার আমি হলাম না কিছুই
কৃতি সন্তানের দাবী পূরণ হলো না গাঁয়ের
রত্নগর্ভা হলেন না মা নিজেও।
জীবন সঙ্গিনী পেলো না ভুড়িভুড়ি অসদার্থ পার্জনক্ষম সঙ্গী
সন্তান সন্ততি পেলো না একজন উচ্চবৃত্ত বাবা।
কবিতা তোমার দেখা পেয়ে
হতে পারলাম না সমাজের একজন ধূর্ত মানুষ
স্বার্থ ও খ্যাতির লোভে অনেকের মত
দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে নেয়া হলো না সুদিনের সুঘ্রাণ
পদ লেহন করা হলো না কারো পায়েই।


বরং কবিতার  নিরীখে
নামধারী কিছু কিছু বড় মানুষ বড় অমানুষ মনে হয়
মোটেই পরোয়া হয় না বাইরের বড়কে
সত্যিকার মানুষের দেখা মেলে খুব কমই।
বর্শার ফলার চকচকে সুন্দরের সুখ
অশ্বখুর স্ফুলিঙ্গের মত দিক জাগানো কিছু সত্যর উচ্চারণ
সামান্য সুন্দরে অতি অসামান্য আনন্দ-সুখ
ভেতরের মানুষ চেনার এক আজব আয়না
হাতে পেয়ে গেছি আমি-
তোমাকে পেয়েছি বলে কবিতা।